যুবকের কীর্তিতে সাইবার নিরাপত্তায় প্রশ্নের মুখে আমেরিকা! ছবি: রয়টার্স।
একেই বলে বোধহয় বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। আমেরিকার প্রতিরক্ষাঘাঁটি পেন্টাগন বহু বছর ধরে দেশের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত যে সব তথ্য গোপন রেখেছিল, তা-ই ফাঁস করে দিলেন ২১ বছরের এক তরুণ! বুধবার অভিযুক্তকে ম্যাসাচুসেটস থেকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের গোয়েন্দা বিভাগ। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই যে প্রশ্নটি উঠছে, তা হল ২১ বছরের এক সাদামাটা তরুণ যদি নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন, তবে দেশের কোনও তথ্যকেই কি আর সুরক্ষিত বলা যাবে? এই প্রসঙ্গে অনেকেই এক দশক আগের উইকিলিকসের প্রসঙ্গ আনছেন। উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ প্রায় ৭০ হাজার গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে আমেরিকা-সহ সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর এই দশকে এটাই সবচেয়ে বড় তথ্যফাঁসের ঘটনা বলে জানাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনের একাংশ।
গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম জ্যাক টেইকজেরিয়া। তিনি আমেরিকার বায়ুসেনা বিভাগের শিক্ষানবিশ কর্মী। যে পদে তিনি কাজ করতেন, সেই পদে কাজ পাওয়ায় ন্যূনতম শর্ত হল ক্লাস টুয়েলভ উত্তীর্ণ হতে হবে আর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কেও খুঁটিনাটি তথ্য জানতে। মনে করা হচ্ছে শেষের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়েই গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন ওই যুবক। আমেরিকার প্রশাসনের উচ্চমহল থেকে বিষয়টি লঘু করার চেষ্টা হলেও, সূত্রের খবর, আমেরিকা যে মিত্র দেশগুলির উপর ধারাবাহিক ভাবে নজরদারি চালিয়ে গিয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্যে তার ইঙ্গিত আছে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে বাইডেন প্রশাসনও। সহকর্মী এবং প্রতিবেশীদের কাছে শান্ত এবং নির্বিবাদী হিসাবে পরিচিত অভিযুক্ত যুবক এক জন সামান্য কর্মী হিসাবে কী ভাবে এই কাজ করলেন, তা জানতেই তদন্ত শুরু করেছে পেন্টাগন।