আফগানিস্তানে বিমানহানা আমেরিকার। ছবি: রয়টার্স।
আফগানিস্তান ছাড়লেও আমেরিকা যে সহজে তালিবানদের রেহাই দেবে না তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল সেনার এক মুখপাত্রের কথায়। তালিবানের বিরুদ্ধে আফগান বাহিনীকে সাহায্য করতে ইতিমধ্যেই বিমানহানা শুরু করেছে আমেরিকা।
গত কয়েক দিন ধরেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। তরে কোথায় কোথায় এবং কী রণকৌশলে এই হামলা চালানো হয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দেয়নি পেন্টাগন।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, “পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য দিতে চাই না। তবে এটা বলতে পারি যে আমরা গত কয়েক দিনে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিমানহানা চালানো হয়েছে। আফগান বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য এই হামলা জারি রাখা হবে।”
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা তুলে নিতেই গোটা দেশ জুড়ে ফের তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে তালিবান জঙ্গিরা। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ দাবি করা হচ্ছে, আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশই তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে। দেশের ৪০০টি জেলাকে ইতিমধ্যেই কব্জা করে ফেলেছে জঙ্গিরা।
আমেরিকা সেনা তুলে নেওয়ায় কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে আফগান বাহিনীকে। তালিবানের হাত থেকে এলাকা উদ্ধারের চেষ্টায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, অগস্টের মধ্যেই পুরো বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে। তবে আমেরিকার দূতাবাস এবং আধিকারিকদের নিরাপত্তার জন্য কিছু সেনা সেখানে মোতায়েন থাকবে।
আমেরিকার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ-এর চেয়ারম্যান মার্ক মিলি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১৭টিতে চাপ বাড়াচ্ছে তালিবান। তাঁর কথায়, “গোটা আফগানিস্তাই তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। তবে আমরা গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছি।” তবে খেলা যে এখনও শেষ হয়নি সেটাই জানিয়েছেন মিলি।