দলাই লামার হাতে ছ’বছরের গেধুন চোকি লিমার ছবি। (ডান দিকে) গেধুন চোকি লিমা।
পাঞ্চেন লামাকে মুক্তি দিক তারা। চিনকে এমনই হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার স্যাম ব্রাউনব্যাক (অ্যাম্বাসাডর- অ্যাট-লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম) সাংবাদিকদের বলেন, “পাঞ্চে্ন লামা কোথায় রয়েছেন, আমাদের কোনও ধারণা নেই। তবে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চিন প্রশাসনের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে যাব।” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, চিনকে গোটা বিশ্বকে জানাতে হবে পাঞ্চেন লামাকে কোথায় রাখা হয়েছে।
১৯৯৫ সালের ১৪ মে দলাই লামা ছ’বছরের এক শিশু গেধুন চোকি নিমাকে ১১তম পাঞ্চে্ন লামা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। দলাই লামার পর তিব্বতে দ্বিতীয় ধর্মীয় গুরু হলেন এই পাঞ্চেন লামা। পাঞ্চে্ন লামা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ঠিক তিন দিন পরই চিন চোকি নিমাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তার পর থেকেই বিশ্বের কনিষ্ঠ রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে পরিচিতি পান চোকি।
চোকিকে চিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর ২৫ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও কোনও হদিশ মেলেনি তাঁর। এ বার চোকিকে মুক্তি দেওয়া এবং তাঁর অবস্থান জানানোর জন্য চিনকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা।
আরও পড়ুন: চিনফিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই না, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: ফের চার হাজারের লাফ, দেশে করোনা আক্রান্ত ৮২ হাজার ছুঁইছুঁই
অন্য দিকে, চিন সরকার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে দলাই লামার উত্তরসূরি খুঁজতে শুরু করেছে তারা। এ প্রসঙ্গে ব্রাউনব্যাক বলেন, “চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্রমাগত চাইছে পরবর্তী দলাই লামা নিয়োগ করবে তারা। কিন্তু এটা ঠিক করার অধিকার তাদের নেই।”
ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিব্বতের বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য স্পেশাল কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা প্রয়োজন। ২০১৭ থেকে এই পদটি ফাঁকা হয়ে রয়েছে। এর আগে যাঁরা স্পেশাল কো-অর্ডিনেটর ছিলেন, তাঁরা তিব্বতের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি নজরে আনেন।