International News

বিস্ফোরণে ফোটোগ্রাফারের ছিন্নভিন্ন হওয়ার দৃশ্য ধরা রইল তাঁরই ক্যামেরায়

কাজই অনুপ্রেরণা, কাজই জীবনের মূলমন্ত্র। সেই কাজের কাছে বন্ধক রাখলেন নিজের জীবনও। বয়স মাত্র ২২। ক্যামেরার লেন্স, জুম, শাটার স্পিড, অ্যাপারচার— শুধু মুখস্থ নয়, হৃদয়স্থও করে ফেলেছিলেন হিলডা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ১৩:১৭
Share:

মৃত্যুর আগে হিলডার তুলে যাওয়া শেষ ছবি। ছবি: রয়টার্স

কাজই অনুপ্রেরণা, কাজই জীবনের মূলমন্ত্র। সেই কাজের কাছে বন্ধক রাখলেন নিজের জীবনও।

Advertisement

বয়স মাত্র ২২। ক্যামেরার লেন্স, জুম, শাটার স্পিড, অ্যাপারচার— শুধু মুখস্থ নয়, হৃদয়স্থও করে ফেলেছিলেন হিলডা। পুরো নাম হিলডা ক্লেটন। মৃত্যুর পরেও কাজকেই রেখে গেলেন নিজের পরিচয় হিসাবে।

মার্কিন সেনা বাহিনীর ফোটোগ্রাফার ছিলেন জর্জিয়ার মেয়ে হিলডা। ২০১৩-তে আফগানিস্তানের লাঘামে ফোটো জার্নালিজমের একটি ট্রেনিং করতে যান হিলডা। সেখানেই ২০১৩ সালের ২ জুলাই ট্রেনিং চলাকালীন একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণে মারা যান হিলডা-সহ আফগান ন্যাশনাল আর্মির আরও চার জন সেনা।

Advertisement

ট্রেনিং চলাকালীন অন করা ছিল হিলডার ক্যামেরা। ক্যামেরার চৌখুপিতে তখনই বন্দি হয়ে যায় তাঁর মৃত্যুর দৃশ্য।

আরও পড়ুন: ক্যামেরা ফেলে বিস্ফোরণে আহত শিশুদের উদ্ধারে ঝাঁপালেন চিত্রসাংবাদিক

কাজের মধ্যে দিয়েই অমর হয়ে রইলেন হিলডা ক্লেটন

সম্প্রতি হিলডার পরিবার ও আফগান সেনার অনুমতি সাপেক্ষে হিলডা ক্লেটনের শেষ কাজ প্রকাশ্যে এনেছে আর্মি ইউনিভার্সিটি প্রেস এবং ইউএস আর্মি মাল্টিমিডিয়া অর্গানাইজেশন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সামনে কী ভাবে অসহায় মৃত্যু হয়েছে হিলডা-সহ ওই চার সেনার। মিলিটারি রিভিউ ম্যাগাজিনে ওই ছবি প্রকাশ করে আফগান সেনে লিখেছে, ‘‘মেয়েরা কী ভাবে সমস্ত পরিস্থিতিতে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে, ক্লেটনের মৃত্যুই তাঁর প্রমাণ। শুধু তাই নয়, হিলডা যে শুধু আমাদের জন্য একটা ভাল উদাহরণ হয়ে রয়েছেন তাই নয়, আশা করছি এই ছবি আমেরিকা-আফগানিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের হাত আরও দৃঢ় করবে।’’

মৃত্যুর পর আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে হিলডাকে সম্মান জানিয়ে ‘হিলডা ক্লেটন বেস্ট কমব্যাট ক্যামেরা অ্যাওয়ার্ড’ চালু করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement