এই রাফাল বিমান কেনার চুক্তি-ই হয়েছে ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে। —ফাইল চিত্র।
প্যারিসে রাফাল প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার দফতরে হানা দিল একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী। রাতের অন্ধকারে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। রাফাল যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থা দাসোঁর তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। রবিবার রাতে প্যারিসের শহরতলি সেন্ট ক্লাউড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী উদ্দেশে দুষ্কৃতীরা সেখানে ঢুকেছিল, তা যদিও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়াও যে এই হামলার উদ্দেশ্য হতে পারে, তেমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে বলা হয়, “রাফাল প্রকল্প তদারকির জন্য প্যারিস শহরতলিতে বায়ুসেনার ম্যানেজমেন্ট টিমের যে দফতর রয়েছে, সেখানে ঢোকার চেষ্টা হয়। তবে কোনও হার্ড ডিস্ক বা নথি চুরি যায়নি। ঠিক কী উদ্দেশ্যে সেখানে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা, তা জানার চেষ্টা চলছে।”কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রককেও ইতিমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তবে তাদের তরফে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বারণ করেছিলাম, তবু কেন ভোট দিলেন? বেলেঘাটায় রাস্তা আটকে শাসানি, দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: ক্যাম্প অফিস করা নিয়ে মন্ত্রী-এসপি বচসা, মন্ত্রীর হুমকিতেও অনড় পুলিশকর্তা
প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ফরাসি সংস্থা দাসোঁর কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে ভারত সরকার। গোটা প্রকল্পের তদারকির জন্য সেখানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বাধীন বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ভারতীয় আধিকারিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানে। প্যারিসের সেন্ট ক্লাউড এলাকায় তাঁদের যে দফতর রয়েছে, সেখানেই হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। সে দেশের পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে নির্বাচনী মরসুমে একাধিকবার মোদী সরকারকে আক্রমণ করে আসছে বিরোধীরা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ অনিল অম্বানীর সংস্থাকে অফসেট বরাত পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সেই নিয়ে বাদানুবাদের মধ্যেই এই ঘটনা।