উদ্বিগ্ন: সাংবাদিক বৈঠকে দুই সাংবাদিকের স্ত্রী। পাশে তাঁদের আইনজীবী। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গনে। ছবি: রয়টার্স।
দায়িত্ব নিয়েই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত নতুন হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশলে জানালেন, রয়টার্সের দুই সাংবাদিক মায়ানমারের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন শুনে তিনি স্তম্ভিত। বিচারব্যবস্থার নামে মায়ানমারে প্রহসন চলছে দাবি করে অবিলম্বে সাংবাদিকদের মুক্তির পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।
মায়ানমারের সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে খবর করার ‘অপরাধে’ ৩২ বছরের ওয়া লোন এবং ২৮ বছরের কায়ো সো উ নামে রয়টার্সের ওই দুই সাংবাদিকের সাত বছরের জেল হয়েছে। ব্যাশলে বলেছেন, তাঁর বিশ্বাস, রোহিঙ্গাদের উপরে নির্যাতনের খবর করে সাংবাদিকরা জনস্বার্থেই কাজ করছিলেন। তাই তাঁর কথায়, ‘‘আমি মায়ানমার সরকারের কাছে ওঁদের দ্রুত মুক্তির জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’’ একই বক্তব্য রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন দূত নিকি হ্যালিরও। তিনি বলেছেন, ‘‘মায়ানমারের সরকারের উপরে আবার একটা কালো দাগ। মায়ানমার সেনা ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালিয়েছে। স্বাধীন দেশে সাংবাদিকদের দায়িত্ব, মানুষকে ঠিক খবর জানানো।’’
মুক্তির জন্য সরব ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইয়াঙ্গনে মার্কিন দূতাবাসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যাঁরা সংবাদ দুনিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, তাঁদের পক্ষে এই সাজা অত্যন্ত উদ্বেগের।’’ আপত্তি জানিয়েছে, ব্রিটেন, নরওয়ে, ফ্রান্স, বাংলাদেশ, জার্মানিও।