Israel-Hamas Conflict

গাজ়ার শিক্ষার ভিত নড়িয়ে দিয়েছে যুদ্ধ, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জের

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রকের দাবি, গাজ়া ভূখণ্ডের ৭৬ শতাংশেরও বেশি স্কুল কার্যত নিশ্চিহ্ন। সম্পূর্ণ ভাবে সেগুলিকে নতুন করে ফের গড়ে তুলতে হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেল আভিভ শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ০৭:৪৬
Share:

যুদ্ধদীর্ণ শহরগুলির শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা নিরন্ন, গৃহহীন। —ফাইল চিত্র।

গত অক্টোবর মাস থেকে লাগাতার সংঘাতে বিধ্বস্ত গাজ়া ভূখণ্ড। একের পর এক শহর জুড়ে স্রেফ ধ্বংসস্তূপ। স্বজন হারানোর হাহাকার। গুঁড়িয়ে গিয়েছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে একাধিক স্কুল। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রকের দাবি, গাজ়া ভূখণ্ডের ৭৬ শতাংশেরও বেশি স্কুল কার্যত নিশ্চিহ্ন। সম্পূর্ণ ভাবে সেগুলিকে নতুন করে ফের গড়ে তুলতে হবে। মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের দাবি, গাজ়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা ইজ়রায়েলের বরাবর। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শিক্ষাকেন্দ্র ধ্বংস করার উদ্দেশ্য সেটাই। যুদ্ধে নড়ে গিয়েছে শিক্ষার ভিত।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত মে মাস থেকে সংগৃহীত উপগ্রহচিত্রে এটা স্পষ্ট যে যুদ্ধের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে ইজ়রায়েলের স্কুলে হামলার তীব্রতাও বেড়েছে। বিশেষ করে, যে এলাকাগুলিতে হামলা চালানোর আগে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার অন্যতম কারণ, প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ স্কুলের বাড়িগুলিতেই আশ্রয় নিতেন। সমীক্ষা বলছে, এই স্কুলগুলির মধ্যে ৬৯ শতাংশে সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে সেগুলি। ৯৬ শতাংশ আংশিক ভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত। সেগুলির উপরেও সরাসরি হামলা চলেছিল।

শুধু তাই নয়, গত এপ্রিলে ইউনিসেফের একটি সমীক্ষায় প্রকাশ, গাজ়া ভূখণ্ডের দশটি স্কুলের মধ্যে আটটিই ধ্বংসস্তূপ। অন্তত ছ’লক্ষ ২০ হাজার পড়ুয়া স্কুলছুট। প্রাণ গিয়েছে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার। ২০০৮ থেকে ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতে এমনিতেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল গাজ়ার শিক্ষাব্যবস্থা। গত বছর হামাস-ইজ়রায়েলে সংঘাতে এখন তা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত, দাবি বিশেষজ্ঞদের। স্কুলের পাশাপাশি আক্রান্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও। গাজ়া সিটির দক্ষিণে অবস্থিত ইসরা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত ধ্বংসস্তূপ। গত জানুয়ারি মাসে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োয় প্রকাশিত হয়েছিল সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

শিক্ষাবিদদের কথায়, দীর্ঘস্থায়ী এই যুদ্ধ গাজ়ার সম্পূর্ণ উন্নয়নের ভিত টলিয়ে দিয়েছে। শিক্ষা প্রায় ধ্বংসের মুখে। যুদ্ধদীর্ণ শহরগুলির শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা নিরন্ন, গৃহহীন। এই আঘাত সামলে উঠতে সারা বিশ্ব থেকে গাজ়ার যথাযথ সহায়তা প্রয়োজন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement