—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
আফগানিস্তানে মহিলাদের উপর তালিবানের নতুন ফতোয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। তালিবানি আইনের ফলে মহিলাদের অধিকারের সীমা ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে বলে তাদের মত। রাষ্ট্রপুঞ্জের আফগানিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মরত দূত মহিলাদের উপর তালিবানের ফতোয়া নিয়ে কড়া নিন্দা করেছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি রোজা নতুনবায়েবার মন্তব্য, ‘‘আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ খুবই উদ্বেগজনক।’’
সম্প্রতি আফগানিস্তানে মহিলাদের উপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে তালিবান। তালিব সরকার ওই বিষয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার আদেশনামা জারি করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, মহিলাদের উপর তালিব সরকারের বিধিনিষেধ সারা বিশ্বের নজর কাড়ছে। বাড়ির বাইরে নারীর কণ্ঠস্বরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা মানবতার নৈতিক লঙ্ঘন। অনেক বিশেষজ্ঞও মনে করছেন, নারী অধিকারের উপরে তালিবান সরকারের নিষেধাজ্ঞাই আন্তর্জাতিক মূলস্রোতে তাঁদের শামিল হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। এর ফলে সে দেশ বিশ্ব থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তার পর থেকে তারা মহিলাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে। সম্প্রতি তালিব সরকার একগুচ্ছ নির্দেশিকা নিয়ে এসেছে। তারা মহিলারা জনসমক্ষে বা বাড়ির ভিতরে জোরে কথা বলতে পারবেন না বলেও নিয়ম চালু করেছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও ভাবেই অপরিচিত পুরুষদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবেন না আফগানিস্তানের প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা। স্বামী এবং আত্মীয় ছাড়া অন্য পুরুষদের অপরিচিত বলে বোঝানো হয়েছে। আফগান নারীদের জন্য নিদান, তাঁরা বাড়ির ভিতরে কথা বললে সেই আওয়াজ যেন বাড়ির বাইরে শোনা না যায়। এমনকি জোর গলায় গান করতে পারবেন না মহিলারা। আফগানের ফতোয়া, জনসমক্ষে এক জন মহিলার সারা শরীর ঢেকে রাখতে হবে। এ ছাড়া উল্লেখ রয়েছে, মহিলারা যে পোশাক পরবেন তা যেন কোনও ভাবেই পাতলা না হয়। পোশাক ছোট বা আঁটসাঁট হওয়া চলবে না।