প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে ফেসবুক এবং টুইটারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মস্কো সরকার। এমনটাই জানাল রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা রস্কোমনাজর। গত সপ্তাহেই সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন জুড়ে একাধিক রুশ সংবাদ মাধ্যমের পেজগুলিকে সরিয়ে দেয় ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম। এর পরই বিষয়টি রস্কোমনাজর-এর নজরে আসে। ফেসবুকের উপর ‘বদলা’ নিতেই রাশিয়া এই সিদ্ধান্ত নিল বলে উল্লেখ করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। এ ছাড়াও যুদ্ধ সংক্রান্ত ভুয়ো খবর ছড়ানোকে অপরাধ গণ্য করা হবে বলে শুক্রবার একটি বিল পাস করে মস্কো সরকার। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছেন অনেকে।
ফেসবুকের উপর বৈষম্যের অভিযোগ এনে রস্কোমনাজর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকেই রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে বৈষম্য মূলক আচরণ করছে ফেসবুক। এ ছাড়াও রাশিয়া টুডে-র মতো বিখ্যাত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের পেজকেও ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ফেসবুক রুশ নাগরিকদের অধিকার এবং স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে বলেও গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছিল রাশিয়া। পাশাপাশি পুরো রাশিয়া জুড়ে ফেসবুকের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে মেটা-র বিদেশ বিষয়ক প্রধান নিক ক্লেগ জানান, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ রুশ নাগরিকদের মানুষদের নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক তথ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করল রাশিয়া সরকার। মানুষের কণ্ঠরোধ করা হল বলেও তাঁর দাবি। তবে সংস্থার তরফ থেকে শীঘ্রই আবার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।