ইচ্ছাকৃত ভাবেই ‘তথ্য-চুরি’ করেছে ফেসবুক। দাবি ব্রিটেনের। ছবি: এএফপি।
নতুন করে ‘কাঠগড়ায়’ ফেসবুক-স্রষ্টা মার্ক জ়াকারবার্গ। তথ্যের গোপনীয়তা সংক্রান্ত আইন (ডেটা প্রাইভেসি অ্যান্ড কমপিটিশন ল) ভাঙার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট অবমাননার অভিযোগও আনল ব্রিটেন।
আজ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের মিডিয়া, ডিজিটাল, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক দফতর। তাতে দাবি করা হয়েছে, ফেসবুকের বেশ কিছু অন্তর্বিভাগীয় ই-মেল পরীক্ষা করে তারা জানতে পেরেছে, জ়াকারবার্গের সংস্থা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে’ এবং ‘জেনেবুঝে’ গোপনীয়তা সংক্রান্ত আইন ভেঙেছিল। ওই ই-মেলগুলিতে মূলত জ়াকারবার্গ ও তাঁর সংস্থার শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের মধ্যে কথা চালাচালি হয়েছিল। ই-মেলগুলি পার্লামেন্টের হাতে যাওয়া থেকে আটকাতেও চেয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াটি। কিন্তু গত বছর ‘সিক্সফোরথ্রি’ নামে একটি ছোট্ট অ্যাপ সংস্থার থেকে ওই ই-মেলগুলি উদ্ধার করে ব্রিটিশ কমিটি।
কমিটির দাবি, ওই সব তথ্য খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবেই ‘তথ্য-চুরি’ করেছে ফেসবুক। তাদের কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে, তথ্য হাতাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি সেটিংস বদলে দিয়েছে তারা। তথ্য-চুরি করে বেশ কিছু সংস্থার ব্যবসাও উঠিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘নিজেদেরকে আইনের উর্ধ্বে ভেবে নিয়েছে ফেসবুক। অনলাইন দুনিয়ায় তাদের এ ভাবে ‘ডিজিটাল গ্যাংস্টার’ হয়ে ওঠা মেনে নেওয়া যায় না।’’
‘সিক্সফোরথ্রি’-র ফাঁস করে দেওয়া ই-মেলগুলি নিয়ে গত ডিসেম্বরেই ফেসবুক বলেছিল, ‘‘বাছাই করা কিছু ই-মেল প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে। যাতে একপেশে একটা গল্প সাজানো যায়।’’ আজ ব্রিটিশ কমিটির রিপোর্টের জবাবে ফেসবুকের বক্তব্য, তারা তথ্য সুরক্ষা আইন ভাঙেনি। একটি বিবৃতি দিয়ে ব্রিটেনে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার করিম পালান্ট বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও আইনকে সমর্থন জানায় আমাদের সংস্থা। যে কোনও অর্থপূর্ণ নিয়ন্ত্রণেও তারা রাজি।’’
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ডের পরে সম্প্রতি কিছুটা থিতিয়েছে পরিস্থিতি। ব্রিটিশ রিপোর্টে নতুন করে কপালে ভাঁজ পড়ল জ়াকারবার্গের।