North Korea

দু’বছরের শিশুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড! বাবা-মায়ের ‘দোষে’ জেল খাটছে একরত্তি

উত্তর কোরিয়া নাস্তিক দেশ। তবে তার সংবিধানে যে কোনও ধর্ম অবলম্বনের অনুমতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানে খ্রিস্টানদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ১৪:৪২
Share:
Two year old child was sentenced for life in North Korea.

উত্তর কোরিয়ায় দু’বছরের শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

দু’বছরের শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার আদালত। বাবা-মায়ের অপরাধের সাজা ভুগতে হচ্ছে তাকে। এর মাধ্যমে একনায়ক কিম জং উনের বার্তা, অপরাধ করলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।

Advertisement

অভিযোগ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছে বাইবেল পাওয়া গেলে কড়া শাস্তি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যাঁরা বাইবেল নিজেদের কাছে রাখছেন, তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যেরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাচ্ছেন। তেমনই এক ঘটনায় সাজা দেওয়া হয়েছে দু’বছরের শিশুকে, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সে কথা। অভিযোগ, তার বাবা এবং মায়ের কাছে বাইবেল ছিল। তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শিশুটিকে হাজতে পাঠিয়েছে সরকার।

উত্তর কোরিয়া খাতায়কলমে নাস্তিক দেশ। তবে সংবিধান অনুযায়ী সেখানে কোনও বিশেষ ধর্ম অনুসরণ করায় বাধা নেই। আমেরিকার একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় গত কয়েক বছরে ৭০ হাজার খ্রিস্টানকে কারাবাসে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডও পেয়েছেন অনেকে। ওই রিপোর্টেই দু’বছরের শিশুকে সাজা দেওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, ২০০৯ সালে বাইবেল নিজেদের কাছে রাখা এবং খ্রিস্টান ধর্ম পালনের অপরাধে শিশুটির বাবা-মাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার পর থেকে সরকারের হুকুমে রাজনৈতিক কারাগারে জীবন কাটাচ্ছে শিশুটি।

Advertisement

রিপোর্টে আরও দাবি, জেলে বন্দিদের উপর অত্যাচার করা হয়। নানা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হন উত্তর কোরিয়ার বন্দিরা।

২০১০ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া শাসন করছেন কিম জং উন। দেশে তাঁর কথাই ‘বেদবাক্য’। একনায়ক কিমের উপরে আর কেউ কথাই বলতে পারেন না। কিমের আগেও দেশটিতে একনায়কতন্ত্রই প্রচলিত ছিল। অভিযোগ, সেখানে হামেশাই লুণ্ঠিত হয় মানবাধিকার। শাসক তাঁর সুবিধা অনুযায়ী দেশ চালান। নিয়ন্ত্রণ করা হয় নাগরিকদের স্বাভাবিক গতিবিধিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement