একই রানওয়েতে পণ্যবাহী এবং যাত্রিবাহী বিমান। ছবি: টুইটার।
একটি যাত্রিবাহী বিমান সবে রানওয়ে থেকে ওড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পাইলট বিমানটিকে ঘুরিয়ে রানওয়েতে দাঁড় করালেন। আর ঠিক সেই রানওয়েতেই পণ্যবাহী একটি বিমানকে অবতরণের অনুমতি দিয়েছিল এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল। যাত্রিবাহী বিমান তখনও রানওয়েতে দাঁড়িয়ে। আর তার ঠিক ১০০ ফুট দূরে তখন পণ্যবাহী বিমানটি।
যাত্রিবাহী বিমানটি একটু একটু করে গতি বাড়িয়ে রানওয়ে ধরে সামনের দিকে এগোতে শুরু করল। তখনও পাইলট জানেন না যে, অন্য একটি বিমান সেই রানওয়েতেই নেমে আসছে। যাত্রিবাহী বিমানের গতি বাড়ল, আর ঠিক সেই মুহূর্তেই সেটি ঘাড়ের কাছে চলে আসে পণ্যবাহী বিমানটি। নীচে রানওয়ে ধরে ছুটছে যাত্রিবাহী বিমান, আর সেটির মাথার উপরে পণ্যবাহী বিমানও সমান গতিতে এগোচ্ছে। প্রায় ঘাড়ের উপর অবতরণ করছিল সেটি। কিন্তু পাইলটের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পণ্যবাহী বিমানের পাইলট বিমানের মুখ ঘুরিয়ে দেয়। আর সেটির প্রায় গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায় যাত্রিবাহী বিমানটি।
সম্প্রতি এমনই একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি আমেরিকার অস্টিন বিমানবন্দরের। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, যাত্রিবাহী বিমানের ছাড়ার সময় এবং পণ্যবাহী বিমানের অবতরণের সময় একই হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে একটি যাত্রিবাহী বিমান যে রানওয়েতে রয়েছে, সেটি ওড়া না পর্যন্ত কেন অন্য বিমানকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে তদন্ত করছে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড-এর চেয়ারপার্সন জেনিফার হোমেন্ডি বলেন, “পণ্যবাহী বিমানের পাইলটের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হল। ১২৮ জন যাত্রীর প্রাণ বেঁচেছে।”