আফগান সীমান্তে মোতায়েন পাক সেনা। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার আফগানিস্তান সীমান্তে আক্রান্ত হল পাক সেনা। খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর জেলার ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুই জওয়ান। ওই প্রদেশেরই দক্ষিণ এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পৃথক তিনটি ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পাক সেনা-সহ দুই স্থানীয় ব্যক্তির।
পাক সেনার দাবি, বাজাউরে সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তানের মাটি থেকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলিতে দু’-তিন জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেও পাক সেনার দাবি। ১৫ অগস্ট তালিবানের কাবুল দখলের পরে এই প্রথম আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাক সেনার উপর হামলা হল।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ সোমবার বাজাউর হামলার কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘আশা করব আফগানিস্তানের শাসকেরা ভবিষ্যতে সে দেশের মাটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবেন না।’’
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে পাকিস্তানের বাজাউর জেলায় আফগান সীমান্তের একটি চৌকিতে মোতায়েন সেনারা হামলার শিকার হন। সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে জামাল এবং আয়াজ নামে দুই জওয়ান ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রসঙ্গত, এই এলাকাতেই গত জুলাই মাসে সন্দেহভাজন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিদের হামলায় এক ক্যাপ্টেন-সহ ১৫ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছিল।
রবিবার রাতে আফগান সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের লাধা তহশিলের শেরওয়াঙ্গি-ক্যান্ডি সেনা ঘাঁটিতে আইইডি বিস্ফোরমে এক পাক সেনার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, সোমবার ভোররাতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে রাজমাকের সেনা চৌকিতে বিস্ফোরণে এক অসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। গুরুতর আহত হন এক জওয়ান। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের জেলা সদর মিরনশাহে পাক সেনার রসদবাহী গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। গাড়ির চালক নিহত হন। গুরুতর জখম হন তাঁর সহকারী।
প্রসঙ্গত, বাজাউর এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তান বিরোধী টিটিপি জঙ্গিরা সক্রিয়। অন্য দিকে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে প্রভাব রয়েছে আফগান তালিবান নেতা সিরাজুদ্দিন হক্কানি গোষ্ঠীর। দু’সপ্তাহ আগে কাবুল দখলের পরই বাজাউরের টিটিপি নেতা ফকির মহম্মদকে মুক্তি দিয়েছে তালিবান।