নীল পাখির বাসায় ভাঙন! ফাইল চিত্র।
ঝড়ের নাম এলন মাস্ক। আর সেই ঝড়ের মুখেই নীল পাখির বাসা লন্ডভন্ড। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্ধেকের বেশি কর্মী ছাঁটাই হলেন টুইটার থেকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তৈরি সম্পর্ক ছেঁড়ার সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? বাদ পড়া এক কর্মী জানাচ্ছেন, একটা অদ্ভুত সপ্তাহ কাটল। এই অভিজ্ঞতা ভোলার নয়।
বাদ পড়া ওই টুইটার কর্মী নিজের নাম জানাতে চাননি। তবে বলেছেন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেউ ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি কী হতে চলেছে। যদিও টুইটার হস্তান্তরের চুক্তি পাকা হয়ে গিয়েছিল এক সপ্তাহ আগেই।
কিছু একটা যে ঘটতে চলেছে, তা কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল না তা নয়। চুক্তি পাকা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক পদস্থ কর্তার চাকরি যাওয়ার খবর আসছিল। আবার কেউ কেউ পরিস্থিতি দেখে ইস্তফাও দিচ্ছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে কর্মীদের জানানো হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। একটি ইমেলে পাঠিয়ে টুইটারের কর্মীদের জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরা জানতে পারবেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে! আর ঠিক তার পরের দিন অফিসে ল্যাপটপ খুলতেই মুখ শুকিয়ে যায় অনেকের।
টুইটারের ওই কর্মী জানিয়েছেন, টুইটারের সদর দফতরে তখন ভয়ঙ্কর চাপের একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কর্মীদের একাংশের ল্যাপটপ খুলতেই তা রিবুট করতে শুরু করেছিল। তার পরই কালো হয়ে যায় ল্যাপটপের পর্দা। এ ভাবেই টুইটার কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের জানিয়ে দেন কাদের আর দরকার নেই।
ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে তার পরও ২৪ ঘণ্টা কোনও মন্তব্য করেননি মাস্ক। অবশেষে শনিবার তিনি টুইট করেন। নীলপাখির নতুন অধীশ্বর লেখেন, ‘‘দিনে ৪০ লক্ষ ডলার ক্ষতি স্বীকার করে চলছিল টুইটার। তাই এ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’’ যাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে তিন মাসের আগাম বেতন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মাস্ক। যদিও মাস্কের টুইটের পর টুইটারের কর্মীদের মন্তব্য, ‘‘ওঁর যুক্তি নিয়েও মেনে নিয়েও বলতে হয়, এতটা নৃশংস উনি নাও হতে পারতেন।’’