ফের প্রতিবাদে উত্তাল ফ্রান্স।—ছবি রয়টার্স।
বিক্ষোভ-প্রতিবাদের চাপে আগামী বাজেটে জ্বালানির দাম না-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমানুয়েল মাকরঁর সরকার। তবে শান্তি ফেরেনি ফ্রান্সে। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ বিক্ষোভকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ছিল গত সপ্তাহেই। সেই মতোই শনিবার দেশ জুড়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফের বিক্ষোভে শামিল হন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। ফ্রান্সের উপ-অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী লঁরো নুনেজ জানান, অন্তত ৭০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। মুখোশ, হাতুড়ি, গুলতি এবং পাথর-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৩৪ জনকে।
আজ ভোর থেকেই হলুদ জ্যাকেট পরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিলেন প্যারিসের শঁজ়ে লিজ়েতে। গত শনিবারই সংঘর্ষ হয়েছিল এখানে। প্রতিবাদীদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ শুধু বিত্তশালীদের কথাই ভাবছেন।
দেশের উত্তর প্রান্ত থেকে তিন বন্ধুকে নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে এসেছিলেন এক যুবক। বললেন, ‘‘আমরা চাই, সরকার আমাদের কথাও শুনুক। আমাদেরও একটু গুরুত্ব দিক। তাই এখানে ছুটে এসেছি।’’ বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের খরচের ক্ষমতা বাড়ানোর দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত। ধনীদের উপরে করও বাড়ানো উচিত।
শনিবার প্রায় আট হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল শহরের বিভিন্ন জায়গায়। গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনের পাশাপাশি শঁজ়ে লিজ়ে এবং বাস্তিল মিনারের আশেপাশে নানা জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অশান্তি এ়ড়াতে আজ বন্ধ রাখা হয়েছিল আইফেল টাওয়ার, জাদুঘর এবং বেশির ভাগ দোকানপাট। বন্ধ ছিল বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশন। বাতিল করা হয় ফুটবল ম্যাচ এবং গানবাজনার অনুষ্ঠানও। ফলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল সাধারণ জনজীবন।
ফ্রান্সে নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নির্দেশিকা জারি করেছে বিভিন্ন দেশ। মার্কিন নাগরিকদের ভিড়ে যেতে বারণ করেছে মার্কিন দূতাবাস। অদূর ভবিষ্যতে প্যারিসে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে আপাতত তা পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পর্তুগাল, বেলজিয়াম এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মতো দেশগুলি।