ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে) এবং রিচেপ তাইপ এর্ডোগান (বাঁ দিকে)। ছবি: রয়টার্স।
‘সামরিক কারণে’ আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না তিনি। কিন্তু তার আগেই সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোগানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
দক্ষিণ রাশিয়ার সৈকত শহর সোচিতে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রফতানি নিয়ে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে নেটো জোটের সদস্য তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ যাতায়াতের ছাড়পত্র দিয়ে চুক্তি হয়েছিল। কয়েক মাস আগে একতরফা ভাবে সেই চুক্তি পুনর্নবীকরণ না করার কথা ঘোষণা করেছিলেন পুতিন।
প্রসঙ্গত, তুরস্কের অদূরের বসফোরাস প্রণালীর মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কিছু দেশে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য পণ্য রফতানি করে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম রফতানিকারক দেশ থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ায় বিশ্ববাজারে খাদ্যসঙ্কট বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বস্তুত, ইতিমধ্যেই ইউরোপের বাজারে গমের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
যুদ্ধের আবহে গোটা কৃষ্ণসাগর উপকূলে নজরদারি কড়া করেছে রুশ নৌবাহিনী। তাই পণ্যবাহী জাহাজ যাতায়াতে রুশ ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য পুতিনের ‘ঘনিষ্ঠ’ এর্ডোগান সক্রিয় হয়েছেন বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ঘটনাচক্রে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমেরিকার-সহ নেটোর অন্য দেশগুলি মস্কোর উপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সেই স্রোতে শামিল হয়নি তুরস্ক। বরং প্রকাশ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে তারা।