প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বজুড়ে অতিমারির অভিজ্ঞতা যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সরকারের উপর বিশ্বাস নড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সমীক্ষা বলছে মহামারির ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার সমীক্ষা থেকে গবেষকরা যা এতদিন বলে এসেছেন কোভিড অতিমারির অভিজ্ঞতা সেই সব সমীক্ষার ফলকেই সত্য প্রমাণিত করেছে। এই সমীক্ষায় অবশ্য কোন কোন দেশের যুব সম্প্রদায়ের উপর বিরূপ প্রভাব সব থেকে বেশি পড়েছে তা বলা হয়নি।
কোভিডের আগেই ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪০টি দেশ জুড়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমীক্ষার প্রক্ষেপের সঙ্গে অতিমারির অভিজ্ঞতা মিলিয়েই এই সিদ্ধান্তে এসেছে অর্থভাণ্ডারের এই সমীক্ষক দলটি।
সমীক্ষা বলছে, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে যাঁরা রয়েছেন এবং কোভিডের প্রকোপ প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁদের মধ্যেই সরকারের উপর বিশ্বাস সব থেকে বেশি টলে গিয়েছে।
এই সমীক্ষা অবশ্য এ-ও বলছে, যে যেসব দেশে সরকারি নীতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকেছে বলে সাধারণ ভাবে বিশ্বাস, সেই সব দেশে অবশ্য এই বয়সের নাগরিকদের সরকারের উপর এবং চিকিৎসক ও বিজ্ঞানের উপর আস্থা দৃঢ় হয়েছে।
সমীক্ষার দাবি, যাঁদের বয়স ২৫ বছরের বেশি বা ১৮ বছরের কম, তাঁদের আস্থার উপর অতিমারির তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।
সমীক্ষকদের সিদ্ধান্ত, ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে যাঁরা আছেন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব তাঁদের উপরই বেশি হয়। অতিমারিও তার ব্যতিক্রম নয়। কোভিডের টিকা নিয়েও সেই সব দেশেই সংশয় বেশি দেখা গিয়েছে যেখানে অতিমারির কারণে সরকারের এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার উপর আস্থা নড়ে গিয়েছে।
চিন্তার ব্যাপার হল, এই প্রভাব মানুষের জীবনে স্থায়ী দাগ রেখে যায়। সমীক্ষা বলছে, যে সব দেশে সরকার তার নাগরিকদের পাশে থাকার বার্তা স্পষ্ট ভাবে পৌঁছে দিতে পারেনি সেই সব দেশেই অতিমারির ফলে সরকারের এবং সরকারি নীতির উপর আস্থা টলিয়েই শুধু দেয়নি, আগামীতে এর প্রভাব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উপরও ছায়া ফেলতে চলেছে বলে সমীক্ষকরা মনে করছেন।
একই সঙ্গে, যে সব দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার কম এবং অতিমারি নিয়ে সরকারি ব্যবস্থায় নাগরিক খুশি নয়, সেই সব দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও মানুষের মনে গভীর সংশয়ের জায়গা তৈরি হয়েছে যা একেবারেই কাম্য নয়।