ছবি সংগৃহীত।
করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা তিনি কোনও দিনই করেননি। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও সেই বেপরোয়া সুরই ধরে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে সোমবার নির্বাচনী সভায় যোগ দিতে ফ্লরিডা গিয়েছিলেন তিনি। অনুগামীদের উদ্দেশে উচ্ছ্বসিত গলায় সেখানে ট্রাম্প বললেন, ‘‘আমি এতটাই সুস্থ বোধ করছি যে আপনাদের চুমু খেয়ে আসতে পারি এখন!’’
পরিস্থিতির এমনই বিড়ম্বনা, ট্রাম্প যখন অনুগামীদের চুমু খাওয়ার কথা বলছেন, তখন ১৭টি মার্কিন প্রদেশে ফের রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণের খবর প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। ট্রাম্পের সভায় হাজির অনুগামীরাও অধিকাংশই মাস্কবিহীন! তাঁদের কাছে নিজের যুদ্ধ-জয়ের সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে ট্রাম্প বললেন, ‘‘আমি এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছি (করোনা সংক্রমণ), বর্তমানে চিকিৎসকেরা বলেছেন আমি নিরাপদ।’’ তাঁর মেডিক্যাল দলও প্রেসিডেন্টের সুরেই সুর মিলিয়েছেন।
সংক্রমণ-বিপত্তির কারণে দিন দশেক প্রচার থেকে দূরে থাকার পর, সোমবার ফ্লরিডা থেকে ফের প্রচার শুরু করলেন ট্রাম্প। লকডাউনের বিরোধিতা করে বললেন, ‘‘সমস্যার থেকে সমাধান কখনওই বেশি কষ্টের হতে পারে না।’’
মার্কিন ইমিউনোলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচিকে নিজের প্রচারের অংশীদার করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট তাঁর মন্তব্যকে ‘প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে’ নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিরকাল রাজনীতি থেকে দূরে থাকা ফাউচি। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের বক্তব্য, ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ফাউচির উপদেশ মেনেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন তিনি।
এ দিকে, চিন নিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করলেন জনপ্রিয় রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালি। তাঁর দাবি, ক্ষমতায় এলে চিনের বিরুদ্ধে কিছুই করবেন না বাইডেন। ইরানের সঙ্গে মার্কিন পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে বাইডেনের সওয়াল নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে নিকির অভিযোগ, তিনি ‘বামপন্থার প্রচারক’। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গের মৃত্যুর পর এমি কনি ব্যারেটকে আনার বিষয়ে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নাগরিকদের মতামত উপেক্ষা করছেন রিপাবলিকানরা বলেও পাল্টা অভিযোগ হ্যারিসের।