প্যালেস্তাইনি যুবকের প্রতিবাদ। গাজায়। ছবি: রয়টার্স।
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ ঘিরে ইহুদি বসতি স্থাপন নিয়ে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন বিবাদ চরমে। শনিবার ফের এক ইজরায়েলির গুলিতে প্রাণ হারালেন তিন প্যালেস্তাইনি। পশ্চিম জেরুজালেম এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের ঘটনা। ইজরায়েলের অভিযোগ, নিহতরা প্রথমে ছুরি নিয়ে হামলা করে তাঁদের উপর। গত দু’সপ্তাহ ধরে চলা এই অশান্তিতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন প্যালেস্তাইনি এবং সাত ইজরায়েলি। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হওয়ায় শুক্রবার
জরুরি বৈঠকে বসেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব জেরুজালেমে ১৬ বছরের ‘সন্দেহভাজন’ এক প্যালেস্তাইনি কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটকায় ইজরায়েলের সীমান্ত পুলিশ। অভিযোগ, তখনই ছুরি বার করে পুলিশকে কোপানোর চেষ্টা করে কিশোর। পাল্টা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয় সেখানেই। দ্বিতীয় ঘটনাটি ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের ইহুদি ঘাঁটির কাছে। সেনার দাবি, এক ইজরায়েলি বাসিন্দার উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয় এক প্যালেস্তাইনি। ঘটনাস্থলেই গুলি করে খুন করা হয় হামলাকারীকে। এক ইজরায়েলি সীমান্ত পুলিশের উপর হামলা করেন এক প্যালেস্তাইনি মহিলা। আক্রান্তের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
অশান্তি থামাতে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকেই উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর কথায়, ‘‘হিংসা-হানাহানি বন্ধ করতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাস, দু’জনকেই আরও তৎপর হতে হবে।’’