তিন তিন বার বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া সেই মার্কিন মিশনারি।
কথায় বলে, ‘রাখে হরি, মারে কে’?
এক বার নয়। তিন তিন বার একটুর জন্য বেঁচে গেলেন। ১৯ বছর বয়সের মার্কিন মিশনারি ম্যাসন ওয়েলস্।
বস্টনে বিস্ফোরণটা যেখানে ঘটেছিল, সেখানে ছিলেন। নভেম্বরে, প্যারিসে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনার সময় ছিলেন সেই কনসার্ট হলে। আর ব্রাসেলসের মায়েলবিক মেট্রো স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরণের পর পরই বোমার একটি ধারালো টুকরো ছিটকে এসে ঢুকে যায় তাঁর শরীরে। গলগল বেরতে থাকে রক্ত। তাঁর শরীরের অনেকটা পুড়েও গিয়েছে। ঘটনার অভিঘাতে মেট্রো স্টেশনের ঠিক মুখেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু বেঁচে গিয়েছেন। বেঁচে গিয়েছেন তাঁর সঙ্গী আরও দুই মিশনারি।
আরও পড়ুন- ব্রাসেলসের আত্মঘাতী জঙ্গিরা দুই ভাই! চিহ্নিত হল তৃতীয় জঙ্গিও
তিন তিন বার বড় জঙ্গি হামলার ঘটনাস্থলে থেকেও রেহাই পেয়ে গিয়েছেন ওয়েলস্। মরমনের একটি চার্চের মিশনারি তিনি। ওয়েলসের সঙ্গে বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর এক অফিসার আর তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্য। তাঁরা ছিলেন ব্রাসেলস বিমানবন্দরে চেক-ইন কাউন্টারের কাছাকাছি।
বেলজিয়ান পুলিশ জানাচ্ছে, বিমানবন্দরের সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল দুই আত্মঘাতী জঙ্গির শরীর। কী ভাবে ছিটকে, ছড়িয়ে পড়লেন চেক-ইন কাউন্টারের সামনে বা তার আশপাশে দাঁড়ানো মানুষ। সেখানে ছিল আরও এক আত্মঘাতী জঙ্গি। তবে ওই তৃতীয় আত্মঘাতী জঙ্গিটি বিস্ফোরণের আগেই বিমানবন্দরের ‘ডিপার্চার’ টার্মিনাল ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আত্মঘাতী জঙ্গিদের বাঁ হাতের গ্লাভসেই জড়ানো ছিল ওই ডেটোনেটরগুলি।