আক্ষরিক অর্থেই রাজসিক বেতন! বছরে সাড়ে আট্টাত্তর হাজার পাউন্ড। সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ‘খাস পাইলট’-এর তকমা। সম্প্রতি এমনই একটি পদের জন্য ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তবে তার শর্তাবলি ও যোগ্যতার বর্ণনা দেখে অনেকেই বলছেন, এ কাজ যতটা চোখ ধাঁধানো, তার থেকে ঢের বেশি সমস্যার।
কী রকম? এই যেমন বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রানির পাইলট হতে গেলে ‘ভিভিআইপি’দের বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তা বাদে অভিজ্ঞ পাইলট যিনি কি না দিন-রাত এক করে বিমান চালিয়ে যেতে পারবেন, তাঁকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। আসলে শুধু ব্রিটেন নয়, তার বাইরেও বহু দূরের দেশগুলিতে প্রায়ই সফর করতে যান রাজ পরিবারের সদস্যরা। তখন রানির হেলিকপ্টারই ব্যবহার করেন তাঁরা। সে জন্যে অনেকটা সময়ই বিমানে কেটে যায় রাজ পরিবারের সদস্যদের। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিমান চালককে এতটাই পারদর্শী হতে হবে, যাতে কি না কম সময়ে বহু দূরের রাস্তাও পার করে দিতেন পারেন তিনি।
কিন্তু এ সব দাবি তো কিছু অপ্রত্যাশিত নয়। তা হলে সমস্যাটা কোথায়? আসলে বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যিনি বিমান চালানো ছাড়াও রাজ পরিবারের অন্য কাজ করতে রাজি থাকবেন, তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আর এতেই আপত্তি নিন্দুকদের। তাঁদের যুক্তি, ‘এয়ারক্রাফ্ট ক্যাপ্টেন’ পদে নিযুক্ত কোনও ব্যক্তি কেন অন্য কাজ করবেন? কেনই বা তা করানোর কথা ভাববে রাজ পরিবার? উত্তর নেই।
যা জানা, তা হল যে বেতন দিয়ে এই খাস পাইলটকে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে, তার প্রায় অর্ধেক বেতনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ শুরু করতে চলেছেন রাজ পরিবারেরই আর এক সদস্যরাজকুমার উইলিয়াম। কেনসিংটন প্যালেস সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, বেতনের সবটাই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেবেন উইলিয়াম। কিন্তু জল্পনা তাতে থামছে না। অনেকেরই আক্ষেপ, রাজ পরিবারের ছেলে কি না শেষমেশ এয়ারক্রাফ্ট ক্যাপ্টেনের থেকেও কম বেতন পাবেন?
শুনে রাজ পরিবারের অনুগতেরা মুচকি হেসে বলছেন, “রানির খাস পাইলট হওয়া যে সাধারণ ব্যাপার নয়, এটাই তার প্রমাণ।”