প্রাক্তন পাক দূতকে সাজা দিতে উদ্যোগ

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হল পাকিস্তানের দু’টি থানায়। আর এমন ধারায় তা করা হল, যাতে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হলে তাঁকে ফেরার বলে ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪১
Share:

হুসেন হক্কানি।

ওসামা বিন লাদেনকে খতম করতে তিনি সাহায্য করেছিলেন মার্কিন বাহিনীকে। এ কথা সরাসরি সামনে নিয়ে এসে বিপাকে আমেরিকায় পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুসেন হক্কানি। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হল পাকিস্তানের দু’টি থানায়। আর এমন ধারায় তা করা হল, যাতে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হলে তাঁকে ফেরার বলে ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

লাদেন যে তাদের দেশে ছিল, তা পাক প্রশাসনের জানাই ছিল না বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগে একটি প্রথম সারির মার্কিন সংবাদপত্রে হক্কানির লেখা নিবন্ধে পাকিস্তানের সেই দাবি প্রশ্নের মুখে পড়ে। প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতের দাবি, লাদেনকে খুঁজে বের করে খতম করতে তিনি সাহায্য করেছেন। তবে এ ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনকে পাক সেনা ও আইএসআই-এর উপর নির্ভর করতে হয়নি। আর পাক সরকার ও আইএসআই জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেও অভিযোগ আনেন হক্কানি। এর পরেই পাকিস্তানের আইনসভায় তাঁর সমালোচনা হয়।

এ বার এক কদম এগিয়ে হক্কানির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কোহট জেলার দু’টি থানা— ক্যান্টনমেন্ট ও বিলিতাং-এ তিনটি এফআইআর করেছেন তিন জন। তাদের অভিযোগ, হক্কানি তাঁর বই ও বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে পাক সরকার ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। এ ছাড়া, ঘৃণা ছড়াতে ভাষণও দিয়েছেন তিনি। তাদের দাবি, হক্কানি দেশের এমন বদনাম করেছেন, যাতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এমনকী আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত থাকার সময়ে তিনি সিআইএ এবং ভারতের এজেন্টদের ভিসার ব্যবস্থা করতে সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১১ সালে ‘মেমোগেট স্ক্যান্ডাল’-এর নামে হক্কানিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement