প্রতীকী ছবি।
শ্রীলঙ্কার এই চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধানে রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও স্বাধীন ৪২ জন সাংসদ। বৈঠকে ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল শ্রীসেনাও। কিন্তু সেই আলোচনা একেবারেই ফলপ্রসূ হয়নি বলেই সূত্রে খবর। বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র যেহেতু পাওয়া যায়নি, তাই ঠিক করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার নতুন বছর, অর্থাৎ আগামী ১৪ এপ্রিলের পরে ফের বৈঠকে বসা হবে। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের উপরে চাপ আসছে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। তবে তিনি অনড়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রীসেনা জানিয়েছেন, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রশাসনে রাজাপক্ষেদের ক্ষমতা হ্রাস করে একটি সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা। বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্টের কাছে জোটসঙ্গী দলগুলি একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে ১১টি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয় ছাড়াও দাবি করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষেকে অবিলম্বে সরিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা গঠন করার। সেই বিষয়গুলিই বার বার উঠে এসেছে আলোচনায়। স্বাধীন জোটের এক সদস্য বাসুদেব নানাইয়াক্কর জানান, ১১টি বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে রাজাপক্ষের সঙ্গে। উল্লেখ্য, বাসুদেব-সহ ৪২ জন সাংসদ গত সপ্তাহেই রাজাপক্ষের প্রশাসন থেকে নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করেছেন।
এ দিনের বৈঠকে সাংসদেরা দেশের অবস্থার উন্নতির জন্য সর্বদলীয় জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করার প্রস্তাব দেন। রাজাপক্ষে জানান, যে যে প্রস্তাব সংবিধান বিরোধী তা মানতে তিনি রাজি নন, তার মধ্যে পড়ছে এই কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের বিষয়টিও। সোমবার দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণ হিসাবে অতিমারি ও লকডাউনকেই দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে। তিনি বলেন, অতিমারির কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তার উপর চলেছে টানা লকডাউন। এই কারণেই বৈদেশিক মুদ্রা-সহ একাধিক অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।