—প্রতীকী চিত্র।
জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার শাস্তি দিতেই প্রাক্তন পুলিশ অফিসারকে কোপানো হয়েছে বলে স্বীকার করল আক্রমণকারী নিজেই। আরিজ়োনার টাকসন সংশোধনাগারে গত ২৪ নভেম্বর ডেরেক শভিনকে ২২ বার কোপ মারে সহবন্দি জন টুর্সকাক। শুক্রবার সে নিজেই আইনজীবীদের জানিয়েছে, ফ্লয়েডকে মারার শোধ তুলতেই সে শভিনকে খুন করতে চেয়েছিল। অফিসারেরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে না এলে শভিনের প্রাণে বাঁচার আশা ছিল না।
মেক্সিকোর মাফিয়া দলের প্রাক্তন সদস্য টুর্সকাক ৩০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিল, যা ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা। তার মধ্যেই শভিনকে আক্রমণ করে বসায় তার নামে নতুন করে খুনের চেষ্টার মামলা যুক্ত হল। এতে আবার ২০ বছরের শাস্তি হতে পারে। টুর্সকাক বলেছে, সে এক মাস ধরে শভিনকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছিল। শেষ পর্যন্ত ২৪ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সংশোধনাগারের লাইব্রেরিতে নিজের বানানো একটা ছোরা নিয়ে সে শভিনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অফিসারেরা ছুটে এসে মরিচ গুঁড়ো ছুড়ে তাকে ঠান্ডা করেন। গুরুতর আহত শভিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শভিনের উপরে আক্রমণ হতে পারে, এমন আশঙ্কা তার আইনজীবীরা আগেই জানিয়েছিলেন। শভিনকে একক সেলে রাখার দাবি তুলেছিলেন। সেই আশঙ্কাই সত্য হয়। এর আগে শভিন মিনেসোটার সংশোধনাগারে ছিল। গত বছর অগস্ট মাসে তাকে আরিজ়োনায় আনা হয়।
এফবিআই গোয়েন্দাদের কাছে ৫২ বছরের টুর্সকাক স্বীকার করেছে, শভিনকে আক্রমণের জন্য সে ইচ্ছে করেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে-র দিনটি বেছে নিয়েছিল এবং ওই ভাবেই ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার-এর কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিল। ২০২০ সালে মিনিয়াপলিসে শভিনের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের খুনের পরে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার-এর স্লোগান নিয়েই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল আমেরিকা জুড়ে। প্রকাশ্য রাস্তায় ফ্লয়েডের গলায় সাড়ে ন’মিনিট ধরে হাঁটু চেপে রেখেছিল শভিন। তার পরে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। গত মাসে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে শভিনের আপিল খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে শভিন হাল ছাড়েনি। তার আইনজীবীরা এখন সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছেন, যার ভিত্তিতে তাঁরা দাবি তুলবেন শভিনের হাঁটু চাপা পড়াটা ফ্লয়েডের মৃ্ত্যুর কারণ নয়।