বাঁধ মানছে না চোখের জল। ছবি: ফেসবুক
স্বামী কাছে নেই। এদিকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তাঁকে মেসেজ করেই চলেছেন সেই মহিলা। জানাচ্ছেন সদ্যোজাত সন্তানদের খবর। আর ঠিক তখনই ফুল হাতে ঢুকলেন তাঁর স্বামী। অপ্রত্যাশিত এই ‘উপহার’ পেয়ে আবেগে ভেসে গেলেন মহিলা। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের।
স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে চললেও তিনি সহজে যে আসতে পারবেন না, তাও জানতেন সেই মহিলা। কারণ তার স্বামী দেশের হয়ে যুদ্ধে গিয়েছেন। প্রসবের পর যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেই মহিলা। কিন্তু তখনও তাঁর স্বামী এসে পৌঁছননি তাঁর কাছে। অবশেষে এক সময় কাটল অপেক্ষার প্রহর। সন্তানদের জন্মের ১২ দিন পর মহিলার স্বামী ফিরে এলেন তাঁর স্ত্রী এবং সদ্যোজাত সন্তানদের কাছে। আবেগঘন এই মুহূর্তের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সেই মহিলা নিজেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের বাসিন্দা সিডনি এবং স্কাইলার একে অন্যের সান্নিধ্য পেয়েছেন খুব কম সময়ের জন্যই। কারণ দেশের হয়ে যুদ্ধ করতে কুয়েত চলে যেতে হয়েছিল স্কাইলারকে। এমনকি, স্ত্রী সন্তানসম্ভবা জেনেও তাঁর পাশে থাকতে পারেননি তিনি। অবশেষে সন্তানদের জন্মের পর যখন তাদের কাছে ফিরে এসেছেন স্কাইলার, তখন স্বামীকে কাছে পেয়ে আর আবেগ সামলাতে পারেননি সিডনি। ভেঙে পড়েছেন চোখের জলে।
আরও পড়ুন: একটা গোটা দ্বীপে একাই থাকেন ৮১ বছরের এই মহিলা
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা শেয়ার করে সিডনি লিখেছেন লম্বা একটি বার্তা। তিনি লিখেছেন, “পাগলের মতো কেটেছে এই একটা বছর। প্রিয় মানুষ ভরসা দেওয়ার জন্য কাছে নেই। মাঝখানে দূরত্বটা একশ মাইলের। ভরসা শুধু ৪৮ হাজার স্কাইপ কল। একা একা মাতৃত্ব সামলানো একজন মহিলা। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের ১২ টা দিন। বন্ধুরা পাশে ছিল। পাশে ছিল পরিবারও। তবু চোখের জল বাঁধ মানতে চায় কি? অবশেষে একজন সৈন্য পরিবারের কাছে ফিরল।”
এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এই বার্তাটি। যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত ঘটনা গুলি কী ভাবে কোনও কোনও পরিবারের কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়, সেই কথাই এই পোস্টের নিরিখে জানিয়েছেন অনেকে। অনেকেই আবার জানিয়েছেন যে সিডনির এই পোস্ট দেখে চোখের জল সামলাতে পারেননি তাঁরা নিজেরাও।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ডিগবাজি! জঙ্গি ডেরা নয় মাদ্রাসা, জইশ সদর কার্যালয়ের দখল নিয়েও ক্লিনচিট