বছর দুয়েক আগে ইউরোপীয় জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন।
বরিস জনসন পদত্যাগের পর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মসনদে বসেছিলেন লিজ় ট্রাস। ৪৫ দিনের মাথাতেই তাঁকে পদত্যাগ করতে হল। আবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সঙ্কট তো রয়েছেই। এমন ডামাডোলের মধ্যে ব্রিটেনকে খোঁচা দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’র মতো করেই ইইউ-এর শিল্প দফতরের প্রধান থিয়েরি ব্রিটন বললেন, ‘‘ইউরোপ ছাড়া গতি নেই ব্রিটেনের!’’
ব্রিটন ফ্রান্সের রাজনীতিক। বর্তমানে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ বাজারের কমিশনার পদে রয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টিকে কটাক্ষ করে ব্রিটন বলেন, ‘‘ওরা এক রকম মরীচিকার দিকে ছুটে গিয়েছিলেন। ব্রিটেনের নিয়তি ইউরোপই। আমাদের এখানে একটি দেশ আছে, যে দেশটি স্থিতিশীলতা হারিয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থাও একই রকম।’’
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে ইউরোপীয় জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। ১৯৭৩ সালে তদানীন্তন ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’-তে যোগ দিয়েছিল ব্রিটেন। যা ১৯৯২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর চেহারা নেয়। দীর্ঘ সেই ৪৭ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি নতুন সূচনার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস। কার্যত তার পরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ওই দেশের অর্থনীতি। সেই সঙ্গে শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপড়েন।