ট্রাম্প এবং কোমি।—ফাইল চিত্র।
বরখাস্ত করা হল মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানকে। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, হিলারি ক্লিন্টনের ইমেল সংক্রান্ত তদন্ত করছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর প্রধান জেমস কোমি। আর ওই তদন্তে কোমির হস্তক্ষেপের কারণেই তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস-এর সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের দাবি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে ট্রাম্পের প্রচার এবং তাতে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করছিল এফবিআই। আর সে কারণেই সরতে হল কোমিকে। বছর চারেক আগে এফবিআই-এর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেন কোমি। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আরও ৬ বছর বাকি ছিল।
আরও খবর
রাজ্য থেকে ছত্তীসগঢ় যাবে সিআরপি-র মহিলা বাহিনী
এর আগেও কোমিকে নিয়ে বিতর্কের জল ঘোলা হয়েছে। সম্প্রতি হিলারি ক্লিন্টনের ওই ইমেল সংক্রান্ত তদন্তের একটি রিপোর্ট মার্কিন কংগ্রেসকে জানান কোমি। সেই রিপোর্টে ত্রুটি ছিল বলে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি। এর পরেই প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে কোমিকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, এফবিআই-এর প্রতিষ্ঠান মতো ঠিক মতো পরিচালনা করতে ব্যর্থ কোমি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন রয়েছে বলে বিচার বিভাগ মনে করে। আর এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের সঙ্গে এক মত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে, গোয়েন্দা প্রধানের এমন আকস্মিক অপসারণে আলোচনার ঝড় উঠেছে ওয়াশিংটন জুড়ে। এফবিআই-এর অন্য সিনিয়র গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আগে থেকে তাঁদের কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে কোমির পরে এফবিআই-এর দায়িত্ব কার হাতে যাচ্ছে, তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।