newzealand

১৩৫ বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের জেরে সেলাইমেশিন গাছে! এই ভৌতিক গ্রামের যত্ন করে তার মালিক পরিবার

রোটোরুয়া শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণপূর্বে এই ঘুমন্ত শহরে সাজানো আছে পাথরের তৈরি গুদামঘর, মাওরিদের নৌকো এবং কামারশালা। আগ্নেয়গিরির ছাই এবং কাদার স্তরের নীচ থেকে সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২১ ১১:০০
Share:
০১ ১৪

‘তে ওয়াইরোয়া’-কে বলা হয় নিউজিল্যান্ডের ‘পম্পেই’। কারণ পম্পেই-এর মতো এই জনপদও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলে অগ্ন্যুৎপাতে। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ জুন মাউন্ট তারাওয়েরা-র অগ্ন্যুৎপাতের গ্রাসে চলে গিয়েছিল এই জনপদ।

০২ ১৪

ধ্বংসলীলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১২০ জন। অতীতের এই জনপদ আজ দাঁড়িয়ে আছে পরিত্যক্ত, ভৌতিক শহর হয়ে।

Advertisement
০৩ ১৪

১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে এই গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ধর্মপ্রচারক সেমৌর মিলস স্পেনসার। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত উষ্ণ প্রস্রবণ ‘পিঙ্ক অ্যান্ড হোয়াইট টেরেস’ দেখতে যাওয়ার পথে এই জনপদে বিশ্রাম নিতেন পর্যটকরা।

০৪ ১৪

প্রথমে ভাবা হয়েছিল ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আগ্নেয়গিরি তারাওয়েরা-র অগ্ন্যুৎপাতে বিলীন হয়ে গিয়েছে এই দু’টি উষ্ণ প্রস্রবণও। কিন্তু পরে তাদের অস্তিত্ব আবার খুঁজে পাওয়া যায়।

০৫ ১৪

জনপদ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার ৪০ বছরের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ‘তে ওয়াইরোয়া’ আজ পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য। ‘ওয়াইরোয়া ঝর্না’, ‘রোটোকাকাহি হ্রদ’ এবং ‘তারাওয়েরা হ্রদ’ পর্যটকদের কাছে অন্যতম দর্শনীয়।

০৬ ১৪

পরবর্তী সময়ে ‘তে ওয়াইরোয়া’-এ খননের ফলে বেশ কিছু জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছে। মাওরি উপজাতিদের অতীত জনপদের সেই জিনিসগুলি দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা।

০৭ ১৪

রোটোরুয়া শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণপূর্বে এই ঘুমন্ত শহরে সাজানো আছে পাথরের তৈরি গুদামঘর, মাওরিদের নৌকো এবং কামারশালা। আগ্নেয়গিরির ছাই এবং কাদার স্তরের নীচ থেকে সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

০৮ ১৪

প্রত্নতাত্বিক জিনিসগুলি সংগ্রহ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ‘তে ওয়াইরোয়া’-র সংগ্রহশালায়। আগ্নেয়সমাধি হওয়া এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আজ থেকে ২৩৫ বছর আগের একটি সেলাইমেশিন।

০৯ ১৪

অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বং‌স হয়ে যাওয়া শহরের ধ্বংসাবশেষে সেই মেশিন ঝুলছিল গাছ থেকে। পরে পচে যাওয়া সেই গাছ কেটে নামানো হয় সেলাই মেশিনটিকে। ঐতিহাসিক নিদর্শনটির এখন জায়গা হয়েছে সংগ্রহশালায়।

১০ ১৪

বিস্ময়কর বিষয় হল, এই মৃত জনপদ কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ১৯৩১ সালে ‘তে ওয়াইরোয়া’ কিনে নেন এক দম্পতি, রেগ এবং ভি স্মিথ। সে সময় এই জমিতে একটি মাত্র বাড়ি ছিল। স্মিথ দম্পতি কিনে নেওয়ার পরে শুরু হয় খননকাজ।

১১ ১৪

এখন পরিবারটির তৃতীয় প্রজন্ম রয়েছে ভৌতিক শহরের মালিক হিসেবে। স্থানটির রক্ষণাবেক্ষণ ও খননের জন্য তাঁরাও যথেষ্ট যত্নবান। খননের ফলে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসগুলিও রাখা হয় যথেষ্ট যত্ন করে।

১২ ১৪

ভৌতিক পরিচয় পেলেও ‘তে ওয়াইরোয়া’ গ্রামে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধে আছে। প্রকৃতির কোলে জীবন্ত হয়ে থাকা ইতিহাসের টানে পা রাখেন আগ্রহীরা।

১৩ ১৪

৭৯ খ্রিস্টাব্দে আগ্নেয়গিরি ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল রোমান সভ্যতার অন্যতম শহর পম্পেই। তার ১৮০০ বছর পরে আর এক আগ্নেগিরির গ্রাসে বিলীন হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের গ্রাম ‘তে ওয়াইরোয়া’।

১৪ ১৪

ইতিহাসের সাক্ষী হতে দু’টি জনপদই উৎসাহীদের ভিড়ে দিনের কিছু সময়ের জন্য হলেও সরগরম হয়ে ওঠে। বাকি সময় অপার নিস্তব্ধতায় একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে ইতিহাস এবং প্রকৃতি। ( ছবি: শাটারস্টক এবং সোশ্যাল মিডিয়া)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement