গ্রাফিক- সনৎ সিংহ
হাতে আর মাত্র ৪ ঘণ্টা। আত্মসমর্পণ না করলে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হও। পঞ্জশিরের মাসুদ বাহিনীকে ঠিক এই ভাষাতেই হুমকি দিল তালিবান।
এ দিকে তালিবানকে সমানে সমানে টক্কর দিতে তৈরি আহমেদ মাসুদের বাহিনী। ১৫ অগস্ট কাবুলের পতনের পরও আফগানিস্তানের কিছু এলাকা, বিশেষত উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে পঞ্জশির উপত্যকা তালিবান দখলের বাইরে থেকে যায়। এবার এত দিনের অজেয় পঞ্জশির উপত্যকা দখলের লক্ষ্যে চূড়ান্ত লড়াই শুরু করল তালিবান। এমনটাই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।
পাল্টা পঞ্জশিরের ‘নেতা’ আহমেদ মাসুদের হুঙ্কার, প্রতিরোধের সবে শুরু। আফগানিস্তানে তালিবান বিরোধী লড়়াইয়ের একেবারে সামনে আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন গনি জমানার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। আফগান সেনার একটি অংশও মাসুদের বাহিনীতে যোগ দিয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। মাসুদ বাহিনী সমর্থন পাচ্ছে কয়েকটি দেশের। কিন্তু প্রশ্ন হল কতদিন প্রতিরোধ চালাতে পারবে মাসুদরা?
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ কাবুলের তখত দখল করার পর আফগান সেনাকে আমেরিকার দেওয়া বিপুল অস্ত্র্রের সম্ভার এখন তালিবানের হাতে। সাম্প্রতিক একটি হিসেব অনুযায়ী, আফগান সেনাকে আমেরিকা ৬ লক্ষ রাইফেল-বন্দুক জাতীয় লাইট ওয়েপন, ৮০ হাজারের বেশি মাইন নিরোধক অত্যাধুনিক গাড়ি, যে কোনও রাস্তায় চলতে পারে এমন ৪ হাজার ৭০০ টি হামভি, ২০ হাজারেরও বেশি গ্রেনেড, নাইট ভিশন গগলস এবং ম্যানপ্যাক দিয়েছিল। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সেই সমর সম্ভারের কত অংশের দখল নিয়েছে তালিবান? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকার অত্যাধুনিক অস্ত্র ভান্ডারের অনেকটাই এই মুহূর্তে তালিবানের কাছে। ফলে আমেরিকান অস্ত্রে বলিয়ান তালিবান আজ আরও ভয়ঙ্কর। যদিও তালিবানের শক্তিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনতে রাজি নন পঞ্জশিরের আহমেদ মাসুদ। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তাঁদের কাছেও মজুত রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।