—প্রতীকী চিত্র।
দশ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের আর স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই! আফগানিস্তানের বেশ কিছু অঞ্চলে এমনই ফতোয়া জারি করেছে তালিবান। কোথাও কোথাও আবার বলা হয়েছে, তৃতীয় শ্রেণির উপরের ক্লাসে মেয়েদের ভর্তি নেওয়ারও কোনও দরকার নেই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই খবর।
গত ডিসেম্বর মাসেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনার উপরে নিষেধাজ্ঞা বসেছিল। সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম বলেছিলেন, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা স্থগিত রাখতে হবে। তাই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট শোরগোল হয়। তালিবান সূত্রে তখন দাবি করা হয়েছিল, এই ব্যবস্থা সাময়িক। নতুন নিয়মবিধি প্রণয়ন করে ফের পড়াশোনা চালু করা হবে। এই ক’মাসে তেমন নির্দিষ্ট কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি অবশ্য। আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক করে, পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে, আলাদা দরজা দিয়ে ঢুকে, শুধু শিক্ষিকাদের কাছে ক্লাস করে যৎসামান্য পড়াশোনা কোথাও কোথাও চলছে। উপরন্তু মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাতেও নানাবিধ কড়াকড়ি চেপেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির পরে ছাত্রীদের আর স্কুলে আসতে না দেওয়াই উচিত বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শুধু স্কুল-কলেজ নয়, জিম-পার্ক-বিউটি পার্লার সবেতেই মেয়েদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হয়েছে। এ বার একেবারে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাতেও মেয়েদের প্রতি বৈষম্যের খবর আসছে। গজনী প্রদেশের শিক্ষা মন্ত্রক যেমন বলেছে, প্রাথমিক স্কুলে ১০ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের নেওয়া যাবে না। কম বয়সে মাথায় বেশি লম্বা হয়ে গেলেও স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।