ছবি: রয়টার্স।
শুক্রবারই কি নতুন সরকার ঘোষণা করবে তালিবান, তা নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে। যদিও তালিবানের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, সরকার ঘোষণার জন্য শুক্রবারকেই বেছে নেওয়া হবে। সেই নির্ধারিত দিনও হাজির। সূত্রের খবর, দলের বেশির ভাগ নেতাই এখন কন্দহরে। সরকার গঠনের বিষয়ে এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যদি এর মধ্যেই আলোচনা মিটে যায়, তা হলে প্রার্থনার পরই নতুন সরকারের ঘোষণা করতে পারে তালিবান।
তবে অন্য একটা সূত্রের দাবি, সরকার গঠনের আগেই ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে হক্কানি গোষ্ঠী এবং কন্দহরের ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতেই কন্দহরে ছুটে গিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। এই ফাটল এখনই মেরামত না করতে পারলে যে আগামী দিনে বিপদ ঘনাতে পারে, তা আঁচ করেই সব গোষ্ঠীকে নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে তালিবান। যদি সব ঠিক থাকে, তা হলে শুক্রবারই সরকার ঘোষণার পথে হাঁটতে পারে তারা। তবে তেমন সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না বলে ওই সূত্রের দাবি।
তবে অন্য একটি সূত্রের খবর, ইরানের ধাঁচেই সরকার গঠন করতে চাইছে তালিবান। যেখানে সরকারের মাথার উপরে থাকবেন এক জন প্রধান নেতা। ইতিমধ্যেই হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদাকে তাদের প্রধান নেতা হিসাবে মান্যতা দিয়েছে তালিবান। তাঁর অধীনে থাকবেন এক জন প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তালিবান যখন সরকার গঠনের জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে, সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর সেই দ্বন্দ্ব সামলাতেই এখন মরিয়া তালিবান নেতারা।