আক্রান্ত শৈশব। ছবি: এএফপি।
গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র। যার বলি অসংখ্য সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছিল এই বিষয়টি। একটি মার্কিন সংবাদপত্রের হাতে পৌঁছয় তাদের সাত পাতার খসড়া রিপোর্ট।
কিন্তু বুধবার ওই কমিশনের যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখে হতভম্ব অনেকেই। কারণ, সাত পাতার রিপোর্টকে কমিয়ে আনা হয়েছে দু’টি মাত্র অনুচ্ছেদে। বাদ পড়েছে রাসায়নিক অস্ত্রের অনেক খবরই।
তদন্ত কমিশনের এক সদস্যের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুই ফাঁস করেছিলেন খসড়া রিপোর্টটি। তাতে বিস্তারিত লেখা ছিল, বাশার-আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকার বিদ্রোহীদের এক সময়ের ঘাঁটি পূর্ব ঘুটার দখল নিয়েছে কী ভােব। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বোমাবর্ষণ, অনাহারের পাশাপাশি রাসায়নিক অস্ত্রের মোকাবিলা করতে হয়েছে পূর্ব ঘুটার বাসিন্দাদের। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক চাপের জন্য রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞায় সায় দিয়েছিল আসাদের সরকার। তবে তা রয়ে যায় খাতায়-কলমেই। এমনকি রাষ্ট্রপু়্ঞ্জের প্রতিনিধিদেরও সিরিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে আসাদ সরকার নানা রকম বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে অভিযোগ। কমিশনের সদস্য তথা মিশরের মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী হানি মেঘালি জানান, চাপের জন্য নয়, বেশ কিছু বিষয়ে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন। তাই অনেক বিষয় আপাতত বাদ রাখা হয়েছে, পরে তা প্রকাশ পেতে পারে।
জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ছ’টি রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে পূর্ব ঘুটার আবাসিক অঞ্চলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথার ভিত্তিতে তৈরি খসড়া নথি বলেছিল, নিহতদের মুখে গ্যাঁজলা, চামড়ার রং নীল হয়ে যাওয়া, এ সব রাসায়নিক হামলারই লক্ষণ।