ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। —ফাইল চিত্র।
ন’মাস পর মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়িতে ফিরতে পারেননি। বেশ কিছু দিন নিভৃতবাসে থাকতে হয়েছে। সেখান থেকে অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন সুনীতা। সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন সেই ফেরার অনুভূতি। মহাকাশে দীর্ঘ ন’মাস থাকার সময়ে কোন দৈনন্দিন অভ্যাসটিকে সবচেয়ে বেশি ‘মিস্’ করতেন, তা-ও জানিয়েছেন ৫৯ বছরের এই নভশ্চর।
দুই পোষ্যের সঙ্গে খেলায় মজে সুনীতা উইলিয়ামস। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছেন, তিনি বাড়িতে থাকাকালীন প্রতি দিন সকালে দুই পোষ্য কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে বেরোতেন। মহাকাশে থাকার সময়ে তিনি সবচেয়ে বেশি এই অভ্যাসটিকেই ‘মিস্’ করেছেন। পৃথিবীতে ফেরার পর সমাজমাধ্যমে তাঁর প্রথম পোস্টটিও সেই পোষ্যদের ঘিরেই।
সুনীতার পোষা দুই কুকুরের নাম গানার এবং গর্বি। ল্যাব্রাডর প্রজাতির এই দুই কুকুরের সঙ্গে বাড়ির বাগানে খেলা করছিলেন সুনীতা। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে তিনি প্রকাশ করেছেন। সুনীতাকে দীর্ঘ দিন পরে দেখতে পেয়ে তাঁর পোষ্যেরা উত্তেজিত। তাঁকে ঘিরে দু’জনেই বিস্তর লাফালাফি করছিল। সুনীতাও তাদের সঙ্গে খুনসুটি করে সময় কাটিয়েছেন।
এর আগে সাক্ষাৎকারেও এই পোষ্যদের কথা উল্লেখ করেছিলেন সুনীতা। জানিয়েছিলেন, তাঁর দুই পোষ্য তাঁর জন্য অপেক্ষা করে আছে। তাই তাঁকে দ্রুত বাড়িতে ফিরতে হবে।
২০২৪ সালের জুন মাসে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক মার্কিন নভশ্চর বুচ উইলমোর। মাত্র আট দিন তাঁদের মহাকাশে থাকার কথা ছিল। কিন্তু মহাকাশযানের যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আটকে পড়েন সুনীতারা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ২৮৬ দিন কাটিয়েছেন তাঁরা। ইলন মাস্কের সমস্থা স্পেসএক্স তাঁদের ফেরানোর জন্য মহাকাশযান পাঠায়। সুনীতা, বুচ-সহ চার জনকে নিয়ে সেই যান গত ১৯ মার্চ (ভারতীয় সময়) ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে।
দীর্ঘ দিন মহাকাশে থাকার ফলে সুনীতাদের একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ফ্লরিডা থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল টেক্সাসে। সেখানে হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টার দুই নভশ্চরকে বিশ্রামে রাখা হয়। সম্প্রতি নিভৃতবাস সেরে বাড়ি ফিরেছেন সুনীতা।