সুষমা স্বরাজ। -ফাইল চিত্র।
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলল চিন!
একতরফা ভাবে ডোকলামে ঢুকে পড়েছে চিনের সেনা। সেখান থেকে সরিয়ে নিলে ভারত আলোচনায় বসতে রাজি বলে বৃহস্পতিবার সংসদে জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ সুষমার ওই মন্তব্যকে ‘মিথ্যে কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার ওই মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারত যদি মনে করে চিন ডোকলাম থেকে সেনা সরিয়ে নেবে, তা হলে সেটা ফ্যান্টাসি। সেনা সরাতে হবে ভারতকে। চিন কেন তার নিজের এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেবে?’’
ডোকলাম থেকে একতরফা ভাবে সেনা সরানোর জন্য ফের ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ওই সম্পাদকীয়তে পরোক্ষে হলেও যুদ্ধেরই হুমকি দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘‘চিন ইতিমধ্যেই ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে, এ ব্যাপারে তার ‘ধীরে চলা’র ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু দিল্লি যদি ডোকলাম থেকে সেনা সরিয়ে না নেয়, তা হলে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা ছাড়া চিনের সামনে আর কোনও রাস্তাই খোলা থাকবে না। তখন আর কূটনৈতিক ভাবে এই সমস্যা (পড়ুন, ডোকলাম) মেটানো যাবে না।
সংসদে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, ‘‘চিনের সেনাবাহিনীর একতরফা ভাবে ওই ট্রাই-জাংশন-এ (একই সঙ্গে ভারত, চিন ও ভূটানের সীমান্তে) ঢুকে পড়ার ফলেই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ডোকলামে যেতে হয়েছে। না হলে তার ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতো। তবে ভারত আলোচনায় বসতে রাজি আছে যদি চিন তার সেনাদের আগের জায়গায় ফিরিযে নিয়ে যায়।’’
আরও পড়ুন- নিজের মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে ‘উপহার’ স্বঘোষিত গডম্যানকে
‘গ্লোবাল টাইমস’-এর ওই সম্পাদকীয়ের দাবি, সুষমা ‘মিথ্যে কথা’ বলেছেন, কারণ চিন একতরফা ভাবে ডোকলামে সেনা পাঠায়নি। ওটা ‘চিনেরই এলাকা’। চিনা নাগরিকরা চান, তাঁদের দেশের ডোকলামে যেন বাইরের কেউ এসে ঢুকে পড়তে না পারে। চিনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) চিনা নাগরিকদের ইচ্ছাকেই মর্যাদা দিয়েছে। ভারতের সেনাই ডোকলামে ঢুকে পড়েছে। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী সংসদে ‘মিথ্যে কথা’ বলেছেন।
তার পরেই দিল্লির ওপর চাপ বাড়াতে রীতিমতো হুমকির সুরেই ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতের সেনাবাহিনী শক্তি-সামর্থে চিনের বাহিনী পিএলএ’র চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। তাই যুদ্ধে যে ভারত হারবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।’’