প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসকদের সহায়তায় আত্মহত্যা এবং স্বেচ্ছামৃত্যুতে সম্মতি জানাল স্পেনের নিম্নকক্ষ। শনিবার সে দেশের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ১৯৮ ভোটে এই সংক্রান্ত বিলটি পাশ হয়েছে। এ বার বিলটি সেনেটে পাঠানো হবে। সেনেটেও এই বিল পাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও স্পেনের নিয়মানুযায়ী, সরকারি গেজেটে এই বিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ৩ মাস পরে তা আইনে পরিণত হবে।
যে সব রোগীরা দীর্ঘদিন ধরে রোগগ্রস্ত অথবা কোনও উপশমহীন রোগের জন্য অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগছেন, কেবলমাত্র তাঁদের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জানানো হয়েছে ওই বিলে।
শনিবার পার্লামেন্টে বিল পেশ করে স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইয়া বলেন, “সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে অগণিত মানুষের অসহনীয় যন্ত্রণার প্রতি আমরা অনুভূতিহীন হয়ে থাকতে পারি না।” স্পেনের ক্ষমতাসীন বামপন্থী জোট সরকার এই বিলের সমর্থন করলেও রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল পপুলার পার্টি এবং অতি চরমপন্থী দক্ষিণপন্থী দল ভক্স পার্টি এতে সম্মতি দেয়নি। যদিও নিম্নকক্ষে এই বিল পাশের পর তা নিয়ে উল্লাসে মেতেছেন বামপন্থী দলের সমর্থকেরা। অন্য দিকে, পার্লামেন্টের বাইরে কালো পতাকা নিয়ে বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলের সমর্থনকারীদের।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেদান্তকে প্রেসসচিব করলেন ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
আরও পড়ুন: ফাইজারের করোনা টিকা নেওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়লেন নার্স, দেখুন ভিডিয়ো
ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বৈধতা পেয়েছে স্বেচ্ছামৃত্যু। পর্তুগালের এটি আইনে পরিণত হওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও বেলজিয়াম, কানাডা, লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডস-সহ আমেরিকার কয়েকটি রাজ্যে তা বৈধ।
বিলে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছামৃত্যুতে ইচ্ছুক এক মাসের বেশি সময়ের ব্যবধানে চার বার সম্মতি দিলে তবেই সে অনুমতি মিলবে। দীর্ঘকাল ধরে অসহনীয় এবং নিরাময়হীন রোগে ভোগা ব্যক্তিকে স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য প্রথম দু’টি ইচ্ছাপত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। তৃতীয় এবং পরবর্তী আবেদন করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শের পর। চতুর্থ তথা শেষ বার এই গোটা পর্বের আগে করতে হবে। কেবলমাত্র স্পেনের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এবং স্বজ্ঞানে এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁরা আবেদন বিবেচনা করা হবে। গোটা পর্বটি খতিয়ে দেখবেন একটি মেডিক্যাল দল। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের তদারককারী বোর্ড এই আবেদন মঞ্জুর করলে তবেই স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন কার্যকরী করা হবে।