প্রতীকী ছবি।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও উত্তর সীমান্তের বল্খ প্রদেশের মূল শহর মাজ়ার-ই-শরিফে চারটি বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৬ জন। গুরুতর আহত বহু। খোঁজ নেই অনেকেরই। হামলার দায় নিয়েছে আইএস।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার মাজ়ার-ই-শরিফে যাত্রিবাহী তিনটি মিনিবাসে পর পর বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১০ জন। বিস্ফোরণের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে তাড়াতাড়ি আহতদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বল্খ প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান নজিবউল্লাহ তাওয়ানা জানিয়েছেন, হত ১০ জনের মধ্যে তিন জনই মহিলা। বল্খ প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র আসিফ ওয়াজ়িরি জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসগুলিতে বোমা রেখেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু বিস্ফোরণের সময় ছিল কাছাকাছি, ফলে পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে সমাজমাধ্যমে বিস্ফোরণের দায়ভার স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী। ওই একই দিনে রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত হলেন ছ’জন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৮ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের মাঝখানে হজ়রত জ়াকারিয়া মসজিদে বিকালে নমাজ পড়ার জন্য জমায়েত হয়েছিলেন শহরবাসী, তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে আন্দাজ করা হচ্ছে, মসজিদের একটি পাখার মধ্যে রাখা হয়েছিল বোমাটি। পুলিশ এ-ও জানিয়েছে, কাবুলে মসজিদ হানার দায় এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে, বিস্ফোরণের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এটাও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীরই কাজ।
তালিবান ক্ষমতায় আসার পরেই প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের সংখ্যা বেড়েছে আফগানিস্তানে। বেশির ভাগ হামলারই দায় নিয়েছে আইএস।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।