তিব্বতের পাহাড়ি এলাকায় পিএলএ।
তিব্বতের দুর্গম, প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকাগুলিতে কয়েক লক্ষ টন ওজনের সামরিক সরঞ্জাম মজুত করেছে চিনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। সিকিমের ডোকলাম সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় দেড় মাস সময় ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যেই জুনের শেষাশেষি প্রচুর পরিমাণে ওই অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম মজুত করা হয়েছে বলে পিএলএ’র দৈনিক মুখপত্রের দাবি।
পিএলএ’র তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর তিব্বতের কুনলুন পর্বতমালার দক্ষিণে ওই সব অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম মজুত করেছে চিনা সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ড। শিনজিয়াং, তিব্বত আর তার লাগোয়া এলাকাগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পিএলএ’র এই ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ড। অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে রেল ও সড়ক পথে। কুনলুন পর্বতমালার দক্ষিণে যে জায়গায় ওই সব সামরিক সরঞ্জাম মজুত করা হয়েছে, সেখান থেকে ডোকলাম খুব একটা দূরে নয়। সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে এখন কার্যত, অহি-নকুল সম্পর্ক পিএলএ’র এই ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডেরই।
শুধু পিএলএ’র দৈনিক মুখপত্রের দাবিই নয়, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে চিনের সরকারি সিসিটিভি-তে দেখানো হয়েছে তিব্বতে গোলাবারুদ নিয়ে যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছেন পিএলএ’র জওয়ানরা। তবে সেই মহড়ার জন্যই ওই সব অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কুনলুন পর্বতমালার দক্ষিণে মজুত করা হয়েছে কি না, পিএলএ’র দৈনিক মুখপত্রে তা জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন- আলোচনা নয়, সরতেই হবে ভারতীয় সেনাকে, ফের হুমকি চিনের
সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ ওয়াং দেহুয়ার বক্তব্য, ওই এলাকায় যে ভাবে পিএলএ সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে আর মজুত করেছে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম, তাতে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না, ডোকলামের খুব কাছাকাছি থাকা ওই এলাকায় দেশকে সুরক্ষিত রাখার কাজটা পিএলএ’র কাছে কতটা সহজ হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘তিব্বতে যে কোনও রকমের সেনা অভিযান চালানোর জন্য ওই এলাকায় পিএলএ’র হাতে পর্যাপ্ত জওয়ান, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে।’’