প্রার্থনা: বুধবার ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: এএফপি।
গির্জায় সন্ন্যাসিনীদের উপরে যৌন হেনস্থা ও নির্যাতনের ঘটনা যে বাস্তব, কার্যত তা এ বার স্বীকার করে নিলেন পোপ ফ্রান্সিস। ক্রমাগত এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসায় ২০০৫ সালে একটি ধর্মসভা বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন পোপ বেনেডিক্ট। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মঙ্গলবার পোপ ফ্রান্সিস বলেন, এখনও এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এই প্রথম প্রকাশ্যে এমন বিবৃতি দিলেন পোপ। তাঁর কথায়, এর সমাধান খোঁজারও চেষ্টা চলছে।
সন্ন্যাসিনীদের জন্য ক্যাথলিক চার্চের যে আন্তর্জাতিক সংগঠন রয়েছে, তাদের তরফে গত নভেম্বরে জানানো হয়েছিল, চুপ করে থাকা ও গোপন রাখার যে সংস্কৃতি, তা-ই আসলে এত দিন ধরে সন্ন্যাসিনীদের মুখ বন্ধ করে রেখেছিল।
আজই পশ্চিম এশিয়া সফর সেরে ভ্যাটিকানে ফিরে এসেছেন পোপ। গতকাল আবু ধাবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। গির্জার যাজকদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশুদের যৌন হেনস্থার যে ধারাবাহিক অভিযোগ উঠে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই, তার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার এই বিবৃতি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাল্টা হলফনামা পেশ করতে পারেন রাজীব
তাঁর মতে, নারীদের সর্বদা দ্বিতীয় শ্রেণির মনে করার প্রবণতার মধ্যেই এই ধরনের নির্যাতন ও হেনস্থার শিকড় পোঁতা রয়েছে। তিনি আরও জানান, যাজক ও বিশপদের হাতে সন্ন্যাসিনীদের হেনস্থার কথা গির্জাগুলিও জানে। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে তারা। বেশ কয়েক জন যাজককে ইতিমধ্যে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। তবে পোপের এই বক্তব্যের পরে বুধবার ভ্যাটিকানের তরফ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, পোপ ‘যৌন হেনস্থা’ বলতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কী করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, তার কথাই বলতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরাকে ইডি-র জেরা ছ’ঘণ্টা, স্বামীর পাশে আছি, বললেন প্রিয়ঙ্কা
২০১৪-১৬ সালের মধ্যে ভারতেই এক সন্ন্যাসিনীকে ১৩ বার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক বিশপের বিরুদ্ধে। পঞ্জাবের জালন্ধরের ঘটনা। অভিযুক্ত বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করে।