ছবি: রয়টার্স।
জঙ্গি হামলার শিকার হলেন ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রী উইরান্টো। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার আইএসের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যেরা ছুরি দিয়ে কোপায় ওই মন্ত্রীকে। আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন জাভায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য ও নিজস্বী তোলার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্থানীয় মানুষ। তখনই এক জন পুরুষ ও এক মহিলা এগিয়ে এসে কোপানোর চেষ্টা করে উইরান্টোকে। টেলিভিশনে দেখা গিয়েছে, গাড়ি থেকে নামার সময়ে উইরান্টোর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছে দুই জঙ্গি। সন্দেহভাজন ওই দুই জঙ্গি স্বামী-স্ত্রী বলে জানা গিয়েছে। তারা জামাহ আনশারুত দাউলা (জেএডি) নামে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়ার একাধিক গির্জায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পিছনে হাত ছিল এই সংগঠনটিরই। ওই হামলায় জড়িত ছিল বহু জঙ্গি পরিবার। আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ছোট ছোট শিশুদেরও। মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। ইন্দোনেশিয়ার আরও বহু জঙ্গি সংগঠনের মতো জেএডি-রও আইএসের সঙ্গে যোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যেই সরকারি কর্তাদের লক্ষ করে হামলা চালায় সংগঠনের সদস্যেরা। ৭২ বছরের উইরান্টোকে এর আগেও খুন করার চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার হামলার পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে জাকার্তায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই হামলায় আরও তিন জন আহত হয়েছেন।প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছেন, ‘‘মন্ত্রীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। আমি চাইব সবাই ওঁর আরোগ্য কামনা করুন। এবং সবার কাছে আবেদন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করুন। কারণ শুধুমাত্র একত্রিত হলেই আমরা সেই কাজ করতে পারব।’’ এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন, হামলাকারী মহিলা জঙ্গির মুখ ও দেহ কালো পোশাকে ঢাকা ছিল। ওই সাংবাদিকের কথায়, ‘‘গাড়িটা থামার পরেই পুরুষ জঙ্গিটি এগিয়ে গিয়ে কোপাতে শুরু করে। মহিলাও কোপাতে চেষ্টা করে, তবে তার আগেই পুলিশ ধরাশায়ী করে তাদের।’’
সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্তা ইউরান্টো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবেও লড়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি নিরাপত্তা মন্ত্রীর পদে রয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের অভিযোগ, ১৯৯৯ সালে পূর্ব তিমুর দখল করতে গিয়ে মানবাধিকার ভঙ্গ করেছিলেন তিনি। তাতে খুন হয় অন্তত হাজার জন। যার জন্য তাঁকে নিয়োগ করেও বিতর্কের মুখে পড়তে হয় উইডোডোকে।