ইসলাম ধর্মের ‘অবমাননার’ অভিযোগে দশ বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার বেত্রাঘাতের শাস্তি জুটেছিল তাঁর বরাদ্দে।
ইসলাম ধর্মের ‘অবমাননার’ অভিযোগে দশ বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার বেত্রাঘাতের শাস্তি জুটেছিল তাঁর বরাদ্দে। দশ বছরের কারাদণ্ড সম্পূর্ণরূপে ভোগ করার পরে অবশেষে শুক্রবার জেল থেকে ছাড়া পেলেন সৌদি আরবের ব্লগার, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী রইফ বদাওয়ি। পুরো নাম রইফ বিন মুহম্মদ বদাওয়ি। তত দিনে অবশ্য তিনি সমগ্র বিশ্বে বাক্স্বাধীনতার অধিকারের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। সংবাদমাধ্যম সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর কাজের জন্য ‘রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স প্রাইজ় ফর প্রেস ফ্রিডম’ পুরস্কার পেয়েছেন ৩৮ বছরের এই লেখক।
সৌদি নিরাপত্তা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন রইফের মুক্তির কথা। একই কথা শোনা গিয়েছে রইফের স্ত্রী এনসাফ হায়দরের মুখে। এনসাফ জানিয়েছেন, জেল থেকে বেরিয়েই রইফ তাঁকে ফোন করেছিলেন। তিন সন্তান-সহ এনসাফ এখন কানাডায় থাকেন, সেখান থেকেই রইফের মুক্তির জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাবার মুক্তির খবর শুনে খুশি রইফ-এনসাফের অষ্টাদশী কন্যা নওজ়াও।
রইফকে ২০১২ সালে ইসলামের ‘অবমাননা’ করার দায়ে জেল হেফাজতে যেতে হয়। ২০১৪ সালে সেই শাস্তির সঙ্গে যোগ হয় প্রতি সপ্তাহে ৫০ ঘা করে মোট ২০ সপ্তাহ জুড়ে চাবুকের শাস্তি। ২০১৫ সালে জেড্ডা স্কোয়ারে সর্বসমক্ষে তাঁর চাবুক খাওয়ার দৃশ্য দেখে সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিশ্ব। রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপে তার পরে আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি।