কিম জং উনের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি পিটিআই।
উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়ে সে দেশের স্বৈরশাসক কিম জং উনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সার্বিক অংশীদারি চুক্তি সই করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর এই পদক্ষেপের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল দক্ষিণ কোরিয়া।
দু’দিনের উত্তর কোরিয়া সফরে মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছন পুতিন। বুধবার পুতিন এবং কিমের বৈঠক হয়। সেখানে চুক্তিতে সই করেন দুই নেতা। বৈঠক শেষে পুতিন বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে সার্বিক অংশীদারি চুক্তি সই হয়েছে। এতে আগ্রাসনের শিকার হলে পারস্পরিক সহায়তার প্রসঙ্গ রয়েছে।’’ পিয়ংইয়ং-মস্কো সামরিক কারিগরি সহযোগিতা গড়ে তোলারও বার্তা দেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে বসে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ নিয়ে আমেরিকা এবং তার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর অন্য সদস্যদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
অন্য দিকে, কিম বলেন, ‘‘রাশিয়া যদি যুদ্ধের মুখে পড়ে তবে বিনা দ্বিধায় পাশে দাঁড়াবে উত্তর কোরিয়া।’’ উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে নতুন চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চ্যাং হো-জ়িন। তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেন যুদ্ধের পরে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ভবিষ্যতে রাশিয়ার পক্ষে কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে, তা পুতিনের বিবেচনা করা উচিত।’’ পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের আবেদন সত্ত্বেও তাদের সামরিক সহযোগিতা করেনি দক্ষিণ কোরিয়া।