ফাইল ছবি
২৪ ঘণ্টায় ৩৪ বার আকাশপথে রুশ হামলা। রকেট-হানায় দু’টি আবাসন স্রেফ ধূলিসাৎ। নিহতের সংখ্যা কোথায় পৌঁছবে, জানা নেই। চাসিভ ইয়ারে কাল ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। আজ আরও ৪ জনের দেহ মিলেছে ধ্বংসস্তূপের নীচে। এ অবস্থায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘কে বলেছে ওরা (রাশিয়া) যুদ্ধ স্থগিত রাখছে! আমি জানতে চাই।’’
যুদ্ধ-বিশ্লেষকেরা জানিয়েছিলেন, সেভেরোডনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক দখলের পরে এ বারে কিছুটা সময় যুদ্ধ স্থগিত রাখবে রাশিয়া। নিজেদের স্বার্থেই রাখবে। এ সময়ে তারা ফের অস্ত্র মজুত করবে। সেনাবাহিনীরও বিশ্রামের প্রয়োজন। কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা এটাই জানান। কিন্তু গত এক হপ্তা ধরে এমনটা শোনা গেলেও বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন চোখে পড়েনি। কাল রাতের সাংবাদিক বৈঠকে হতাশা প্রকাশ করে জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘ইউক্রেনীয় বাহিনী যথেষ্ট করছে। শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়ছে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। এমন কিছু করতে হবে যাতে ওরা যুদ্ধ বন্ধ রাখে।’’
তবে এর পথ এখনও অমিল। আজ উত্তর-পূর্বের শহর খারকিভে রুশ গোলাবর্ষণে তিন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। জখম কয়েক ডজন মানুষ। আঞ্চলিক গভর্নর ওলে সিনেহুবোভ জানিয়েছেন এ কথা। তাঁর অভিযোগ, বেছে বেছে বসতি এলাকাগুলোকেই নিশানা করছে রাশিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হানা চলেছে এ শহরে। সবই সাধারণ বসতি এলাকা। সন্ত্রাস চালাচ্ছে রাশিয়া।’’
যুদ্ধের ‘কেন্দ্রবিন্দু’ যে সাধারণ মানুষ, তা নিয়ে কারও মনে কোনও দ্বিধা নেই। এক দিকে আবাসন, থিয়েটার, পার্ক, বাজার কিংবা ধর্মীয় স্থানগুলোকে নিশানা করা হচ্ছে, অন্য দিকে দখল হয়ে যাওয়া এলাকাগুলোয় দ্রুত বাসিন্দাদের রাশিয়ার নাগরিক হওয়ার শংসাপত্র ধরানো হচ্ছে। এ কাজে যাতে দ্রুত ঝঞ্ঝাটহীন ভাবে হয়ে যায়, তার জন্য বিশেষ ডিক্রি এনেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সইসাবুদও হয়ে গিয়েছে। ডিক্রিতে লেখা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের সমস্ত বাসিন্দাকে অত্যন্ত সহজ পদ্ধতিতে রাশিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।’