Russia Ukraine War

Russia Ukraine War: স্রেফ ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হতে পারে কিভের দিকে এগনো ৬৪ কিমি দীর্ঘ কনভয়ের রুশ সেনাদের!

বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশন-এর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্লেন গ্রান্টের দাবি, যে হারে তাপমাত্রা নামছে তাতে রাশিয়ার ট্যাঙ্কগুলি এক একটি ফ্রিজারে পরিণত হবে। আর তার ভিতরে সেনারা থাকলে জমে মারা যেতে পারেন যদি না ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন সর্বক্ষণ চালিয়ে রাখেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কিভ শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ ১১:৩৮
Share:

ছবি: রয়টার্স।

কিভ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রুশ সেনার ৬৪ কিলোমিটার লম্বা কনভয়। খাদ্যসঙ্কট, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা এবং বেশ কয়েকটি কারণে সেই কনভয়ের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে বলে কয়েক দিন আগে বেশ কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। তবে ওই কনভয়ের উপর আরও বড়সড় সঙ্কট ঘুরপাক খাচ্ছে। ইউক্রেনীয় সেনাদের গোলাবর্ষণ বা গুলি নয়, এই মুহূর্তে ওই কনভয়ে থাকা সেনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠছে হাড়জমানো ঠান্ডা।

পূর্ব ইউরোপে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। ইতিমধ্যেই কিভ, খারকিভ-সহ আশপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি নীচে। আর কয়েক দিনের মধ্যে সেই তাপমাত্রা মাইনাস ২০-তে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। গত কয়েক দিন ধরে প্রবল তুষারপাত চলছে। এই অবস্থায় রাশিয়ার ওই দীর্ঘ কনভয়ে থাকা সেনারা ট্যাঙ্কের ভিতরেই জমে মরে যেতে পারেন বলে নিউজউইক-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশন-এর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্লেন গ্রান্টের দাবি, যে হারে তাপমাত্রা নামছে তাতে রাশিয়ার ট্যাঙ্কগুলি এক একটি ফ্রিজারে পরিণত হবে। আর তার ভিতরে সেনারা থাকলে জমে মারা যেতে পারেন যদি না ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন সর্বক্ষণ চালিয়ে রাখেন। কিন্তু এখানে আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, যদি সর্বক্ষণ ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন চালিয়ে রাখা হয় তা হলে সেই বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আসবে কোথা থেকে। গ্রান্ট জানান, এমনিতেই খাদ্য এবং জ্বালানি সঙ্কট শুরু হয়ে গিয়েছে ওই কনভয়ে। তার উপর যদি তাপমাত্রা আরও নীচে নামতে শুরু করে তা হলে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝে ওঠা রুশ সেনাদের পক্ষে অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মত তাঁর।

ব্রিটিশ সেনার প্রাক্তন মেজর কেভিন প্রাইসের কথাতেও একই সুর শোনা গিয়েছে। ‘দ্য ডেইলি মেল’-কে কেভিন জানিয়েছেন, তাপমাত্রা নামলেই রুশ ট্যাঙ্কগুলি হয়ে উঠবে এক একটি ৪০ টনের ফ্রিজার। আর এই পরিস্থিতিই রুশ সেনাদের মনোবল আরও তলানিতে নিয়ে যাবে বলে মত তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement