রুশ নিশানায় ইউক্রেনের বসতি অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত।
যুদ্ধের কৌশল বদলাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনার প্রতিরক্ষা ব্যূহ এড়িয়ে সরাসরি আঘাত হানছে বড় শহরগুলির অসামরিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এর ফলে আগামী দিনে সাধারণ নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর।
নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ শুক্রবার বলেন, ‘‘আগামী দিনগুলি আরও খারাপ হতে পারে। আরও মৃত্যু, আরও দুর্ভোগ আরও ধ্বংস দেখতে হতে পারে। কারণ রুশ সেনা ভারী অস্ত্র নিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে আক্রমণ শুরু করেছে।’’ যদিও শনিবার, যুদ্ধের দশম দিনে ভ্লাদিমির পুতিন সরকার ইউক্রেনের শহরগুলির অসামরিক বসতি এলাকায় বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের অভিযোগ খারিজ করেছে।
শনিবার নেটোর এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘বড় শহরে ঢুকে মুখোমুখি লড়াইয়ের ঝুঁকি নিতে চাইছে না রুশ ফৌজ। পরিবর্তে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়দের মনোবল ভেঙে দিয়ে তাঁদের আন্তসমর্পণ করাতে চাইছে।’’ ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের অন্তত ছ’টি বড় শহরের অসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে রুশ বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনকি, ব্যবহার করা হয়েছে জেনিভা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত ‘ভ্যাকুয়াম বোমা’ও।
রাজধানী কিভের পাশাপাশি, খারকিভ, ওডেসা, খেরসন, মারিউপোল এবং চেরনিহিভের মতো বড় শহর রুশ আক্রমণের নিশানা থাকায় সেখানকার বাসিন্দাদের বড় অংশ ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়েছেন। ট্রেন, গাড়ি এমনকি পদব্রজেও বহু মানুষ পাড়ি দিচ্ছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে।
এক সপ্তাহ ধরে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ এবং দূরপাল্লার ৩-এম ৫৪ ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হানার পরে কিভ-সহ কয়েকটি বড় শহরের দখল নিতে গিয়ে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। কিভের অদূরে ইউক্রেন সেনার পাল্টা হানায় নিহত হয়েছেন রুশ সেনার এক মেজর জেনারেল স্তরের অফিসার। এই পরিস্থিতিতে ভোলোদিমির জেলেনস্কির সরকারকে বাগে আনতেই মস্কোর এই কৌশল বদল বলে মনে করছে ন্যাটো।