ছবি: সংগৃহীত।
দ্বিপাক্ষিক বার্ষিক সম্মেলনের জন্য এই বছরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারতে আসার কথা। তার আগে আজ দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন নয়াদিল্লিতে। একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে পুরনো মৈত্রীকে ঝালিয়ে নেওয়া হল।
ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যত সমঝোতা, সামরিক সহযোগিতা এবং ভারতের মাটিতে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন নিয়ে আজ বিস্তারিত কথা হয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ-এর মধ্যে। পাশাপাশি রাশিয়ার তরফে সাউথ ব্লককে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, চিনের সঙ্গে কোনও সামরিক জোট গড়ছে না মস্কো। তবে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করে রাশিয়ার এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কবে ভারতে পৌঁছবে, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত পায়নি দিল্লি। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কিছু গড়ার জন্য সহযোগিতায় বিশ্বাসী। কারও বিরুদ্ধে জোট পাকানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়।” ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমঝোতা এবং ভারতের মাটিতে রাশিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্ত্র নির্মাণ নিয়েও কথা হয়েছে দু’পক্ষের। জয়শঙ্করের বক্তব্য, “আমরা পরমাণু, মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি নিয়ে কথা বলেছি।”
আফগানিস্তান প্রসঙ্গও আজকের আলোচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জয়শঙ্করের কথায়, “আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা সরাসরি যুক্ত। রাশিয়াকে জানানো হয়েছে যে, কাবুলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি শুধুমাত্র সে দেশের জন্যই নয়, সংলগ্ন গোটা অঞ্চলের জন্যই জরুরি।” পাশাপাশি তাঁর কথায়, “আমরা অ্যাক্ট ইস্ট-সহ আরও সুদূরপ্রসারী বাণিজ্যিক যোগাযোগের কথা ভাবছি। সে ক্ষেত্রে রাশিয়া আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।”
রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক এবং প্রযুক্তিগত কূটনীতি আরও জোরালো করার ব্যাপারেও কথা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা টপকে এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কবে রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছবে, সে ব্যাপারে উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন জয়শঙ্কর এবং লাভরভ। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী শুধু বলেছেন, “আমরা সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি ফের তুলে ধরেছি আলোচনায়। এ ব্যাপারে দু দেশের মধ্যে যৌথ কমিশন রয়েছে। আমরা ভারতের মাটিতে আমাদের বাড়তি সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কথাও ভাবছি।”