জনমত সমীক্ষা বলছে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ় ট্রাসের থেকে এগিয়ে ভারতীয় বশোদ্ভূত ঋষি সুনক-ই। ছবি সংগৃহীত
বিতর্কসভায় কে ভাল করলেন? পরস্পরের দিকে শানানো তির কারটা বেশি ধারালো? জনমত সমীক্ষা বলছে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ় ট্রাসের থেকে এগিয়ে ভারতীয় বশোদ্ভূত ঋষি সুনক-ই। তবে খুবই স্বল্প ব্যবধানে।
গতকাল রাতে উত্তর ইংল্যান্ডের ছোট্ট শহর স্টোক অন ট্রেন্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদের দুই প্রার্থীর জন্য বিতর্কসভার আয়োজন করেছিল একটি ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল। দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গত নির্বাচনে কনজ়ারভেটিভ দলকে ভোট দিয়েছেন যাঁরা, তেমনই বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু প্রথম বারের ভোটদাতাও ছিলেন। এই বিতর্কসভায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী লিজ় ট্রাস এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। বিতর্কসভা চলাকালীন সুনককে তিন বার করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান দর্শকেরা। আর ট্রাসকে মাত্র এক বার। তবে বিতর্কসভার পরে যখন দর্শকদের মধ্যে থেকে একটি জনমত সমীক্ষা করা হয়, দেখা যায়, ট্রাসের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন ঋষি। তিনি পেয়েছেন ৩৯ শতাংশ ভোট, লিজ় পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ। বাকি ২৪ শতাংশ কোনও মতামত দেয়নি।
দেশের অর্থনীতি, বিদেশনীতি এবং কর কমানো— মূলত এই তিনটি বিষয় নিয়েই দুই প্রার্থীর মধ্যে বিতর্ক হয়। বিতর্ক শুরুর আগে কনজ়ারভেটিভ দলের সঞ্চালক দু’জনকে বলেন, ‘‘এমন ভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না, যাতে সেই কাদা দলের গায়ে এসে লাগে এবং লাভবান হয় লেবার পার্টি।’’ সঞ্চালক এ কথা বললেও প্রতিদ্বন্দ্বীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে সরে আসেননি কোনও পক্ষই।
তবে এ দিনই কনজ়ারভেটিভ দলের ভোটদাতাদের নিয়ে করা আর একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, সুনকের থেকে লিজ় এখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৪৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন, আর ঋষিকে সমর্থন করছেন ৩৮ শতাংশ। তবে এই সমীক্ষা মানতে নারাজ সুনক শিবির। তাদের দাবি, এটা টিম ট্রাসের ‘অপপ্রচার’।