— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নারী অধিকারের উপরে নিষেধাজ্ঞাই আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক মূলস্রোতে শামিল হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেবলে মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জেরএক কর্তা।
আগের তালিবান সরকারকে পাকিস্তান-সহ তিনটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু এ বারে ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালিবানকে কোনও দেশ সরকার হিসেবে মান্যতা দেয়নি। তাদের বহু চেষ্টাতেও লাভ হয়নি। গত বছর থেকে আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু হয়। ৩০ জুন ও ১ জুলাই কাতারের দোহায় এ নিয়ে তৃতীয় দফার বৈঠকে বসবেন আফগানিস্তান সংক্রান্ত নানা দেশের বিশেষ দূত ও সে দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
তবে আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপুঞ্জের মিশনের প্রধান রোজ়া ওটুনবায়েভার মতে, ‘‘দোহা আলোচনায় তালিবানের যোগ দেওয়ার অর্থ স্বীকৃতি পাওয়া নয়। নারী অধিকারের, বিশেষত নারী শিক্ষার উপরে তাদের জারি করা নিষেধাজ্ঞা আফগানিস্তানকে মানবিক মূলধন থেকে বঞ্চিত করছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ।’’ তাঁর মতে, ‘‘এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জনমত প্রবল। ফলে বর্তমানে কাবুলে ক্ষমতায় থাকা কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি প্রাপ্তির প্রক্রিয়া ধাক্কা খাচ্ছে। আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক সমাধানের পথও প্রশস্ত হচ্ছে না।’’