ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করছিল আমেরিকা। ওই আইনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও পুলিশি অভিযান নিয়ে কাল বিবৃতি দিল মার্কিন বিদেশ দফতর। সরকার এবং বিক্ষোভকারী উভয়ের কাছেই আবেদন জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বিবৃতিতে বিদেশ দফতর বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেছে, তাঁরা যেন হিংসার পথে না গিয়ে সংযত হন। সরকারের প্রতি তাদের বার্তা, শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকারকে সম্মান দেওয়া হোক।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভারতে কী হচ্ছে, সে দিকে প্রথম থেকেই নজর রাখছিল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যা ঘটছে, সে দিকে আমরা সব সময়ই নজর রেখেছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে রক্ষা করুন। আর বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে আমরা বলছি, কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাবেন না।’’
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল আমেরিকার স্বশাসিত সংস্থা ‘ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ (ইউএসসিআরএফ)। ওই সংস্থা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব দিয়েছিল মার্কিন সরকারকে। ইউএসসিআরএফের তরফে বলা হয়েছিল, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিপজ্জনক দিকে মোড় নিচ্ছে। এটি ভারতের সম্পদশালী ইতিহাস ও ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ বহুত্ববাদের বিরোধী।’’ কালকের বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দফতরের ওই মুখপাত্র ফের সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন দিল্লিকে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত ও আমেরিকা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আইনের চোখে সমান অধিকারে বিশ্বাসী। আমেরিকা আবেদন জানাচ্ছে, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার যেন সুরক্ষিত রাখা হয়।’’