কী দোষে মৃত্যুদণ্ড? প্রতীকী চিত্র।
এক দিনে ১২ জন বালুচ বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান সরকার! মঙ্গলবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল নরওয়ের একটি মানবাধিকার সংগঠন। তাদের দাবি অনুযায়ী, এই বন্দিদের মধ্যে ছিলেন এক মহিলাও।
পশ্চিম এশিয়ার কিছু দেশে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ওই মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তারা জানাচ্ছে, যে অপরাধে সংখ্যালঘু বালুচ বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে খুন এবং মাদক কারবারের অভিযোগ। মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরে ছ’জন জেলে বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাদের সাজা ঘোষণা করা হয়। অন্য ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয় হত্যার অভিযোগে। যে মহিলাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, ২০১৯ সালে তাঁকে স্বামী-খুনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে এক দিনে ১২ জন বালুচ কারাবন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান।
ইরানে বার বার সংখ্যালঘু বালুচদের উপর নানা কারণে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। একটি তথ্য বলছে, তুলনামূলক লঘু অপরাধে বালুচদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ‘চল’ হয়েছে ওই দেশে।
ইরানে সংখ্যাগুরুরা শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী। অন্য দিকে, বালুচরা সুন্নি ধারা মেনে চলেন। দীর্ঘ দিন ধরে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করে আসছে যে, ইরানে সংখ্যালঘুদের জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হতে হয়। বিশেষত, উত্তর-পশ্চিমে কুর্দি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আরব ও দক্ষিণ-পূর্বে বালুচদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠনের দেওয়া তথ্য বলছে, ইরানে মোট জন সংখ্যার মাত্র ৬ শতাংশ বালুচ। ২০২১ সালে বিভিন্ন অপরাধে বালুচ বন্দিদের ২১ শতাংশের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান।
যদিও এই ১২ বালুচের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার খবরকে মান্যতা দেয়নি ইরান সরকার। আবার এ নিয়ে কোনও বিবৃতিও তারা দেয়নি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।