বিধ্বস্ত নেপালে শুরু সংস্কারের কাজ

বিপর্যয়ের স্মৃতি মুছে এ বার সংস্কার আর পুনর্নির্মাণের পালা। ভূমিকম্পের পর কেটে গিয়েছে এগারো দিন। এখনও মাঝে মধ্যেই আফটার শকে কেঁপে উঠছে নেপাল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৫২। আহত প্রায় ষোলো হাজার। এখনও নিখোঁজ বহু। তবু এরই মধ্যে ছন্দে ফিরতে চাইছেন দেশবাসী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৫ ০৩:৪৩
Share:

বিপর্যয়ের স্মৃতি মুছে এ বার সংস্কার আর পুনর্নির্মাণের পালা। ভূমিকম্পের পর কেটে গিয়েছে এগারো দিন। এখনও মাঝে মধ্যেই আফটার শকে কেঁপে উঠছে নেপাল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৫২। আহত প্রায় ষোলো হাজার। এখনও নিখোঁজ বহু। তবু এরই মধ্যে ছন্দে ফিরতে চাইছেন দেশবাসী।

Advertisement

সরকারি তরফেও জোরকদমে শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ। প্রাথমিক পর্বে দু’হাজার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘর-বাড়িগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, দেশের ৫০ শতাংশ বাড়ি এখনও সুরক্ষিত। তবে কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ বাড়িই বসবাসের যোগ্য নয়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি নেপালের রাষ্ট্রপতি ভবনটিও অক্ষত নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ভূকম্পের ফলে ওই ভবনের বেশ কিছু অংশে ফাটল ধরেছে। সেখানে মেরামতির কাজ শীঘ্র শুরু হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

ভূকম্পে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দরবার স্কোয়ারে ইতিমধ্যেই মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়া ইটের স্তূপ সরিয়ে নতুন করে নির্মাণের কাজ চলছে।

Advertisement

ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিনোদ চৌধুরি নামে দেশের এক কোটিপতি। ঘরছাড়াদের জন্য প্রায় দশ হাজার বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাঁর সংস্থা। সূত্রের খবর, মোট ১৪টি জেলায় ওই বাড়ি তৈরি করা হবে। নির্মাণকাজের আন্তর্জাতিক বিধি মেনেই ওই বাড়িগুলি তৈরি করবে সংস্থাটি। সে জন্য ভারতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

পশুপতিনাথ মন্দিরের এক পুরোহিতও এগিয়ে এসেছেন দুর্গতদের সাহায্যে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বছর তেত্রিশের ওই যুবক গান গেয়ে মন্দিরে আসা ভক্তদের উদ্দেশে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement